পাকিস্তান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের ওপর চালানো সন্ত্রাসী হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া তরুণকে বীর হিসেবে অভিহিত করেছেন তাঁর সাবেক স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ।
এক টুইটার বার্তায় ওই তরুণে ছবি পোস্ট করে ইমরানের সাবেক স্ত্রী লিখেন, তাঁর ছেলেদের পক্ষ থেকে সমাবেশে অংশ নেওয়া এই বীর পুরুষকে ধন্যবাদ যিনি হামলাকারী ঠেকিয়ে দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে লংমার্চের বহরের মধ্যে ঢুকে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছেন এক ব্যক্তি৷ এতে তাঁর ডান পায়ে গুলি লেগেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। ওই ঘটনায় পিটিআইয়ের আরও কয়েকজন নেতা আহত হন।
এ মুহুর্তে লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ইমরান খান। তাঁর অবস্থা ‘স্থিতিশীল এবং তিনি ভালো আছেন’ বলে দল এবং পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার জানানো হয়েছে।
হামলার পর ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইবতিসাম নামের ওই তরুণ পিস্তলধারী হামলাকারীকে বাধা দিচ্ছেন। হামলাকারীর সঙ্গে তাঁকে রীতিমতো ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায়।
ধস্তাধস্তির মুহূর্তের একটি ছবির সঙ্গে ইবতিসামের ছবিও টুইট করেন জেমিমা। তিনি জানান,এই খবরে আমরা শিউরে উঠি… ঈশ্বরকে ধন্যবাদ সে (ইমরান খান) ভালো আছে।
যুক্তরাজ্যে বসবাস করেছেন জেমিমা।
ইমরান খানের সঙ্গে ২০০৪ সালে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সাবেক এই দম্পতির দুই ছেলে আছে।
গতকাল হামলার ঘটনা নিয়ে ইবতিসাম সাংবাদিকদের বলেন, হামলাকারীর হাতে পিস্তলটি ছিল স্বয়ংক্রিয়। তাঁর হাত থেকে পিস্তল নিয়ে ফেলার পরও গুলি বের হচ্ছিল।
শুরুতেই হামলাকারী আটকাতে না পারার জন্য এবং প্রথম গুলি ঠেকাতে না পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পিটিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, যদি অস্ত্রধারীকে লোকজন না আটকাত, তাহলে পিটিআইয়ে গোটা নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।
এ হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা রয়েছেন বলে সন্দেহ করছেন ইমরান খান।