২ লাখ ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন এক সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
সোমবার দুপুরে কমিশনের বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব কমিশন অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা হবে। এ ছাড়া ইভিএম সংরক্ষণে জনবল তৈরি ও প্রশিক্ষণের জন্য এখানে ব্যয় রাখা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তাদের হাতে এখন দেড় লাখ ইভিএম আছে। এক দিনে ১৫০ আসনে ভোট করতে হলে আরও প্রায় ২ লাখ ইভিএম প্রয়োজন হবে।
এর আগে ইসি সচিবালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছিলেন, প্রাথমিকভাবে যে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে, তাতে মোটাদাগে তিনটি খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে আছে প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা, ইভিএম সংরক্ষণের ব্যবস্থা এবং ইভিএম–সংক্রান্ত জনবল তৈরি। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার কোটি টাকার বেশি।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তির মধ্যেই গত ২৩ আগস্ট নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় অর্ধেক আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। ভোট গ্রহণের এই যন্ত্রটি ব্যবহারে অনেক রাজনৈতিক দলই সংলাপসহ বিভিন্ন সময় নেতিবাচক মন্তব্য করেছে। সেসব উপেক্ষা করেই জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর ধারাবাহিক সংলাপে অংশ নেয় ২৮ দল। এরমধ্যে ৩০০ আসনে ইভিএম চেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দুটি দল শর্তসাপেক্ষে আর ১৪টি দল ইভিএমের পক্ষে মত দিয়েছে। বিরোধিতা করেছে বাকি দলগুলো। এর আগে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে সংলাপেও ইভিএমের বিরুদ্ধে মতের পাল্লা ভারী ছিল
সবশেষ অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ইভিএমের মাধ্যমে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইভিএমে অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষ গত জুনে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সব কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। যদিও এই যন্ত্রটির ব্যাপারে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর রয়েছে তীব্র আপত্তি।