২৬টি দেশের কারাগারে ৯ হাজার ৩৭০ জন বাংলাদেশি আটক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, যে ২৬ দেশের কারাগারে বাংলাদেশি নাগরিকেরা আটক আছেন, সেসব দেশ হলো পর্তুগাল, মিসর, ইতালি, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, কাতার, লিবিয়া, স্পেন, হংকং, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, আলজেরিয়া, থাইল্যান্ড, লেবানন, গ্রিস, ইরাক, তুরস্ক, মিয়ানমার, জাপান ও জর্ডান।
এসব দেশের মধ্যে সৌদি আরবের কারাগারে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৭৪৬ জন আটক রয়েছেন। তুরস্কে আটক আছেন ৫০৮ জন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২২৬ জনকে লিবিয়া থেকে, ৫১ জনকে ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের কারাগার থেকে প্রত্যাবাসন (ফেরত আনা) করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভারত, মিয়ানমার ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের কারাগার থেকে আরও প্রায় ১ হাজার ৯৫০ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছে।
সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার ৮১টি দূতাবাসের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখছে। এর মধ্যে ১৪টি দেশে বাংলাদেশের ১৭টি দূতাবাস ভবন (নিজস্ব) রয়েছে। এ ছাড়া ৭টি দেশে বাংলাদেশের মালিকানাধীন জমি রয়েছে।
সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আট লাখের বেশি ব্রিটিশ-বাংলাদেশি যুক্তরাজ্যে বসবাস করে সেখানকার রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন।
সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের মধ্যে যারা পলাতক, তাদের ফিরিয়ে আনতে প্রচলিত কূটনীতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আইন অনুযায়ীও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আগের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান বাংলাদেশে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে দেশের অর্জিত সাফল্যগুলো বিশ্ববাসীকে অবহিত করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে।
সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মনোযোগ ধরে রাখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে চলেছে।