আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে যানজট ও জনদুর্ভোগ এড়াতে কোরবানির পশুবাহী গাড়ি চলাচল এবং শিল্প-কারখানার কার্যক্রমে নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, কোরবানির পশুবাহী গাড়ি কোনো অবস্থাতেই রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না। গাড়ি সরাসরি নির্ধারিত পশুর হাটের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।
তিনি বলেন, “পথে গরুর গাড়ি থামিয়ে ট্রেড করার সুযোগ দেওয়া হবে না। এতে যানজট বাড়ে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। তাই সবার দায়িত্ব, গরুর গাড়ি সরাসরি হাটে প্রবেশ করুক, রাস্তায় যেন না নামে।”
তিনি আরও জানান, প্রতিটি পশুর হাটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৭৫ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও হাট ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে ঈদের আগে-পরে যানজট নিয়ন্ত্রণে বাল্ক ট্রান্সপোর্ট (বৃহৎ আকারের মালবাহী ট্রাক) চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, “ঈদের আগে ও পরে তিনদিন, এমনকি রাতেও বাল্ক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি পণ্য পরিবহনকারী যানবাহনগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।”
শ্রমিকদের ঈদ উপলক্ষে প্রাপ্য বোনাস ও বেতন নিয়েও সরকারের কড়া অবস্থান তুলে ধরেন উপদেষ্টা। তিনি জানান, এ মাসের মধ্যেই সকল গার্মেন্টস শ্রমিকদের বোনাস প্রদান করতে হবে। বেতন পরিশোধের সময়সীমা নির্ধারণ করে তিনি বলেন, “পহেলা জুন থেকে ৩ জুনের মধ্যে গার্মেন্টস মালিকদের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ সম্পন্ন করতে হবে।”
সড়কে অযাচিত ভোগান্তি সৃষ্টির বিষয়ে সতর্ক করে উপদেষ্টা বলেন, “অযৌক্তিক দাবি আদায়ের নামে কেউ যেন রাস্তা অবরোধ না করে। এ ধরনের কর্মসূচি জনগণের ভোগান্তির কারণ হয় এবং তা সহনীয় নয়।”
এমন বাস্তবতায় ঈদের সময় ঢাকাসহ দেশের প্রধান শহরগুলোর নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সরকার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানান তিনি।