আলোচিত সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলকে ধর্ষণ, মারধর, অপহরণ এবং ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৯ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি মাহমুদুর রহমান বলেন,নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সর্বশেষ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের পরিচয় হয়। সেই সময় তিনি ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। এরপর ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ এবং একাধিকবার দেখা করার মধ্য দিয়ে তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে নোবেল তরুণীকে তার স্টুডিও দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে ডেমরার একটি বাসায় নিয়ে যান। তরুণী বাসা থেকে ফিরতে চাইলে, অভিযোগ অনুযায়ী, নোবেল ও তার সহযোগী ২-৩ জন ব্যক্তি মিলে তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে। ওই সময় তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে এবং তাকে ধর্ষণ করেন নোবেল। এছাড়া ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে রাখেন বলেও এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।
নোবেল এরপর ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। তরুণীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গত বছরের নভেম্বর থেকে একটানা বন্দী করে রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা তাকে চিনতে পারেন। এরপর তারা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান। পুলিশের সহযোগিতায় সোমবার রাতে তরুণীকে উদ্ধারের পাশাপাশি নোবেলকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তরুণীর পরিবার ডেমরা থানায় গিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ, অপহরণ, অবৈধ আটকে রাখা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
নোবেল এর আগেও বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও আচরণের কারণে আলোচনায় এসেছেন। তবে এবার অভিযোগের প্রকৃতি গুরুতর এবং তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।