শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

নরসিংদীতে মাদক বিক্রির অভিযোগে দুই ওসিকে বদলি

মাজহারুল ইসলাম, নরসিংদী প্রতিনিধি
-বিজ্ঞাপণ-spot_img

নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান ও কোর্ট পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে উদ্ধার হওয়া ৯৬ কেজি মাদক প্রায় ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি জানাজানির পর প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ঢাকার রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এ কে এম আওলাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নরসিংদীর দুই পুলিশ পরিদর্শককে ঢাকা রেঞ্জ অফিসে সংযুক্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

এর আগে দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান স্বাক্ষরিত একটি পত্রে নরসিংদী পুলিশ লাইনসে তাদের বদলি করা হয়।

জানা যায়, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি শিবপুর উপজেলার সৃষ্টিঘর আটাশিয়া এলাকায় মনির হোসেনের লটকন বাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯৬ কেজি গাজা উদ্ধার করেন তৎকালীন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার। ঘটনাস্থল থেকে ৯৬ কেজি গাঁজা জব্দ করে নরসিংদী ডিবি অফিসে নিয়ে আসেন এবং ওসি কামরুজ্জামানকে অবহিত করেন। জব্দ তালিকায় ৯৬ কেজি গাঁজার বাজার মূল্য দেখিয়েছেন ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। আইন অনুসারে জব্দকৃত মালামাল জিডি মূলে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই সময় আদালতের বিচারক জব্দকৃত ৯৬ কেজি গাঁজা (মাদক) ধ্বংস করে বা পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন।

এদিকে, নরসিংদী ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান নরসিংদী কোর্ট পুলিশের অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) খন্দকার জাকির হোসেনকে ম্যানেজ করে এই ৯৬ কেজি গাঁজা মাধবদী আলগী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী মায়া প্রধানের কাছে বিক্রি করে দেন। প্রতিকেজি গাঁজার বাজার মূল্য ২৫ হাজার টাকা হলেও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর কাছে ১৫ হাজার টাকা কেজি ধরে ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে বলে অভিযোগ ওঠে ওসি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। পরে সেই টাকা ডিবি’র ওসি ও কোর্টের ওসি ভাগ করে নেন।

বিষয়টি জানাজানি হলে নরসিংদী পুলিশ সুপারের নিকট মৌখিক অভিযোগ করেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য। তবে আদালতের নথিতে দেখা যায় জব্দকৃত ৯৬ কেজি মাদক ধ্বংস করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে নরসিংদী গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের অফিসার গাফফার আলামত জব্দ করেছে। এরপর তা জব্দ তালিকা করে কোর্টে পাঠিয়েছে। কোর্ট সেগুলো রিসিভ করে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই ধ্বংস করেছে। সেই আদেশও আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। এখন কোর্ট ধ্বংস করেছে কি করেনি সেটা তো কোর্টের ব্যাপার। কোর্ট সেটা ধ্বংস করে ভিডিও ফুটেজও দেখলাম আমাকে পাঠিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়ার পর আমাদের দায়িত্ব শেষ। এখন এটা নিয়ে অন্য কোনো কিছু হয়, কেউ যদি কোথাও বিক্রি করে, কেউ যদি কারও নাম বিক্রি করে তাহলে তো সেখানে দেখতে হবে সেটার ডকুমেন্টস কি আছে? আমি অন্যায় কোনো কিছুই করিনি। এখানে আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।

শেয়ার করুন

সর্বশেষ নিউজ

জামায়াতের সমাবেশে আমন্ত্রণ পায়নি বিএনপি:সালাউদ্দিন আহমেদ

শনিবার (১৯ জুলাই) সাত দফা দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের সমাবেশে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানায়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির...

ইসলামী বিপ্লবের ডাক দিলেন সাদিক কায়েম

রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে নতুন এক ‘ইসলামী বিপ্লবের’ ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, দেশ...

সাজিদের মৃত্যুর তদন্তে প্রশাসনের গাফিলতি, আন্দোলনে উত্তাল ইবি

এস.এম. শাহরীয়ার স্বাধীন, ইবি প্রতিনিধিকুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত, বিচারের দাবি ও প্রশাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও...

নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা নেই: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে কোন ধরনের অনিশ্চয়তা নেই। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল অথবা কোন প্রতিদ্বন্দ্বীর কোন ধরনের...

সম্পর্কিত নিউজ

জামায়াতের সমাবেশে আমন্ত্রণ পায়নি বিএনপি:সালাউদ্দিন আহমেদ

শনিবার (১৯ জুলাই) সাত দফা দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী...

ইসলামী বিপ্লবের ডাক দিলেন সাদিক কায়েম

রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে নতুন এক ‘ইসলামী বিপ্লবের’ ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক...

সাজিদের মৃত্যুর তদন্তে প্রশাসনের গাফিলতি, আন্দোলনে উত্তাল ইবি

এস.এম. শাহরীয়ার স্বাধীন, ইবি প্রতিনিধিকুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র রহস্যজনক মৃত্যুর...