প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও বলেছেন, সদ্য উদ্বোধন করা পদ্মা সেতু দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।
রবিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন। এসময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন,‘আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এটি (পদ্মা সেতু্) একটি বিশাল মাইলফলক।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী আবারও কিছু দেশীয় অর্থনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিন্দা জানান। যারা বলেছিলেন পদ্মা সেতু প্রকল্পটি কার্যকর হবে না এবং ব্যয় (সেতু নির্মাণের) টাকা উঠে আসবে না।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু এখন কি দেখা যাচ্ছে? সেতুটি অবশ্যই মানুষের জীবন ও জীবিকা পরিবর্তন করবে।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর মতো পদ্মা বহুমুখী সেতুও দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে গেম চেঞ্জার হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের আগে প্রতি বছর উত্তরবঙ্গে দুর্ভিক্ষ (মঙ্গা) হতো।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর থেকে আর মঙ্গা নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করায় ঢাকার মানুষ এখন তাজা ইলিশ ও অন্যান্য মাছ খেতে পারবে।
এতে স্থানীয় জেলেরাও উপকৃত হবেন বলে তিনি জানান।
তার দক্ষ ও দৃঢ় নেতৃত্বে শক্তিশালী পদ্মা নদীর ওপর দেশের বৃহত্তম সেতু সফলভাবে নির্মাণ করায় মন্ত্রিসভা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী এই যুগান্তকারী অর্জনের কৃতিত্ব বাংলাদেশের জনগণকে দিয়েছেন
তিনি বলেন, যখন তিনি নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তখন বাংলাদেশের জনগণ তার পাশে দাঁড়িয়েছিল বলে তাদেরকে অভিনন্দন জানানো উচিত।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এভাবে আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে সত্যিই আমি কৃতজ্ঞ। তাদের শক্তি (আমার জন্য) সবচেয়ে বড় শক্তি। তাই, এই অভিনন্দন বাংলাদেশের জনগণের পাওয়া উচিত,আমার নয়।’