দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ আসন (রামপাল ও মোংলা) নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সমর্থকদের দেশছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদারের কর্মী বাহিনীর পক্ষ থেকে এই হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়াও তাদের হামলায় নৌকা প্রতীকের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এছাড়া নৌকায় ভোট দেওয়ায় সংখ্যালঘুদেরকে ভিটেমাটি ছেড়ে ভারতে পাঠানোর হুমকি-ভয়ভীতিও দেখানো হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে (১৭ জানুয়ারি) মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সুন্দরবন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুন্দরবন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন শেখ।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন উপজেলা এলাকা জুড়ে যে হামলা, ভাঙচুর ও নির্যাতনসহ তান্ডবলীলা চালিয়েছেন তা বিগত কালের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনোত্তর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার ভয়ে অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। তারা মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিশেষ করে তাদের তাণ্ডবে সংখ্যালঘু নেতাকর্মীরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। কিন্তু এখন নিজেদের অপরাধ কর্মকাণ্ড আড়াল করতে ও নৌকার নেতাকর্মীদের ওপরে উল্টো দোষ চাপাতে নানা ধরণের অপ্রচার এবং অপচেষ্টা লিপ্ত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা।
তিনি অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থী বিজয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পরাজয়ের আক্রোশে তারা এখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের জড়িয়ে ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিভেদসহ সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক বিনষ্টে কতিপয় লোকজনকে ভাড়া করে একটি সংবাদ সম্মেলন করিয়েছেন। মূলত নৌকার নেতাদের রাজনৈতিকভাবে হয়রানি ও হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তা করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত মাত্র।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নানা অপপ্রচার চালিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদারের ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী এক পথসভায় ‘নারী নেতৃত্ব হারাম, আমরা গজবের মধ্যে আছি’ এমন সংবিধান ও আইন পরিপন্থী বক্তব্য দিয়ে সারাদেশের নারী সমাজের মর্যাদা ক্ষুণ্নসহ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুন নাহারকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোট না দেওয়ার উদ্দেশ্যে ভোটারদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন।
এছাড়া নির্বাচনের আগে লোকজনকে মারধর ও হয়রানি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনরা। কবির শেখ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী বাহিনী হামলা, অত্যাচার, নির্যাতন ও সংখ্যালঘুদেরকে ভীতি প্রদর্শনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের চেয়ে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।