মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ছাত্রলীগ দখলদারিত্বে বিশ্বাস করে না: ওবায়দুল কাদের

-বিজ্ঞাপণ-spot_img

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান অনস্বীকার্য। ছাত্রলীগ দখলদারিত্বে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছিল। ছাত্রলীগ সর্বদা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দখলদারিত্ব শুরু হয় সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ছাত্রদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। ক্ষমতা ও অর্থের প্রলোভনে মোহাবিষ্টের মাধ্যমে ছাত্রনেতাদের আদর্শ বিচ্যুত ও পথভ্রষ্ট করে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করা হয়। নীতি-আদর্শকে পাশ কাটিয়ে বৈষয়িক চিন্তা ও বিলাসী জীবন-যাপনে অভ্যস্ত করা হয় তাদের। এর ধারাবাহিকতায় দিনে দিনে ছাত্ররাজনীতিতে একটি কলুষিত ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়।

কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বোঝে না যে, এ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যাচারের ধারা অব্যাহত রাখলে তারা জনগণ থেকে আরও দূরে সরে যাবে। তারা ক্ষমতায় এসে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বিরোধী বয়ান তৈরির মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করেছে এবং তা পরিপুষ্ট করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক এবং অভিন্ন বলে মন্তব্য করে কাদের বলেন, এখানে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বয়ান তৈরির অপচেষ্টা হলো ইতিহাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। আর ইতিহাসের বিরুদ্ধে যে জাতি বা গোষ্ঠী অবস্থান নেয় তাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। ফলশ্রুতিতে আমরা দেখতে পাই, বাংলাদেশের মূল চেতনা হতে বিচ্ছিন্ন ইতিহাস বিরোধী অপশক্তি বিএনপি ও তাদের দোসররা জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিলুপ্তির পথে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা নির্যাতনের মনগড়া মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথে হেঁটেছিল। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।

‘এখন তো তাদের নেতা-কর্মীরা একের পর এক মুক্তি পাচ্ছে। অথচ তাদের মুখে অত্যাচার-নির্যাতনের তথাকথিত বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে এটা তারা চিরস্থায়ী পন্থা হিসেবে বেছে নিয়েছে’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের৷

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও  বলেন, সরকার কোনো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নাই। বরং নির্বাচন বানচাল ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে যে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, সরকার তা থেকে জনগণের নিরাপত্তা বিধানের জন্য অভয়ের পরিবেশ সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর।

শেয়ার করুন

সর্বশেষ নিউজ

ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে জাতিসংঘে রাশিয়ার পক্ষ নিলো যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে এবার জাতিসংঘে ভোটাভুটিতে রাশিয়ার পক্ষ নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন মার্কিন প্রশাসন। তিন বছর ধরে চলে আসা এই যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের...

হাসিনার নেতৃত্বে পিলখানায় দুইদিন ধরে চলে হত্যাযজ্ঞ: ফখরুল

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের যোগসূত্রে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় শহীদ সেনা...

পিলখানা হত্যাযজ্ঞের বিভীষিকা আজও তাড়িয়ে ফিরছে তাদের

দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে পিলখানা হত্যাযজ্ঞের বিভীষিকা তাড়িয়ে ফিরছে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারকে। এ বছর দিনটিকে শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করায় কিছুটা স্বস্তিতে স্বজনরা।...

আজহারের রিভিউ আবেদনের আংশিক শুনানি, কাল পর্যন্ত মুলতবি

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি আজকের মতো মুলতবি করা হয়েছে। শুনানি আগামীকাল, বুধবার,...

সম্পর্কিত নিউজ

ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে জাতিসংঘে রাশিয়ার পক্ষ নিলো যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে এবার জাতিসংঘে ভোটাভুটিতে রাশিয়ার পক্ষ নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন মার্কিন...

হাসিনার নেতৃত্বে পিলখানায় দুইদিন ধরে চলে হত্যাযজ্ঞ: ফখরুল

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের যোগসূত্রে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়...

পিলখানা হত্যাযজ্ঞের বিভীষিকা আজও তাড়িয়ে ফিরছে তাদের

দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে পিলখানা হত্যাযজ্ঞের বিভীষিকা তাড়িয়ে ফিরছে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারকে। এ...
Enable Notifications OK No thanks