দেশের আলোচিত ইসলামিক বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ গতকাল জাতীয়করণের দাবিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশি হামলা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
গতকাল রোববার (২৬ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল দেবার গোসাই। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার ক্ষেত্রে এই জিনিসটাই ঘটছে বিগত ৪০ বছর ধরে।
তিনি ফেসবুকে আরও লিখেছেন, সরকার বিভিন্ন সিলেবাস, কারিকুলাম ও নীতিমালা চাপিয়ে দিলেও মাদরাসা শিক্ষকদের ন্যূনতম জীবনধারণের মতো বেতন প্রদান করছে না। যখন সম্মানিত শিক্ষকরা অভাব-অনটনের মুখে নিজের মানবিক দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে বাধ্য হন, তখন তা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
ফেসবুক পোস্টে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই শিক্ষকদের প্রতি সুবিচার করা, জাতির ৪০ বছরের ভুল শুধরে নেওয়া। আশা করি, সরকার সুবেবচনার পরিচয় দেবে।
একই পোস্টের কমেন্টে তিনি লিখেছেন, অথচ একই সময়ে, একই পরিপত্রে চালু হওয়া রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ২০১৩ সালে সরকারিকরণ করা হয়েছে। শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি ও রেজিস্টার্ড প্রাইমারি স্কুল উভয় ধারার শিক্ষকদেরই সম্মানী ছিল ৫০০ টাকা। ৪০ বছরের ব্যবধানে রেজিস্টার্ড প্রাইমারি স্কুলগুলোর শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ৩০ হাজারের মতো, স্কুলগুলো ভবন পেয়েছে, নান্দনিক সীমানা প্রাচীর পেয়েছে। সেখানে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ভাতা ৩ হাজারও না। এর চেয়ে বড় বৈষম্য আর কী হতে পারে!
তার এই স্ট্যাটাসটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাপক ভাইরাল হয়।
প্রসঙ্গত, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করছেন ইবতেদায়ি স্বতন্ত্র মাদরাসার শিক্ষকরা। এ অবস্থায় রোববার (২৬ জানুয়ারি) তাদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনা ঘটে। যেসব হামলার ছবি এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা শিক্ষকদের ওপর হামলা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।