কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচির পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচির পরে শেখ পরিবারের নামে স্থাপনাগুলো মুছে দিয়ে প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম পরিবর্তনের জন্য ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেয় তারা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাস্টিস ফর জুলাই ইবি শাখার আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয় এবং শেখ পরিবারের নাম পরিবর্তনের দাবি জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ইবির চারটি হলে গিয়ে নাম মুছে দেয়। হলগুলো যথাক্রমে শেখ রাসেল হল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ রাতে খুনি হাসিনা ছাত্রদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার কথা। এর প্রতিবাদে আজ ৩২ নম্বর ধ্বংস করে দেয়ার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইবিতে আমরা শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি আয়োজন করেছি এবং আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস্টবিনগুলোতে শেখ হাসিনার ছবি লাগিয়েছি। আমরা আজ ঘোষণা দিতে চাই আমরা ফ্যাসিস্টের প্রত্যাবর্তন আর মেনে নিবোনা। কেউই মেনে নিবে না।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক ইয়াশীরুল কবির সৌরভ স্থাপনাগুলোর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবর্তনের জন্য প্রশাসনকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেন।
এসময় জাস্টিস ফর জুলাই ইবি শাখার আহ্বায়ক নাহিদ হাসান জোয়ার্দার বলেন, শেখ পরিবারের নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম থাকতে পারে না। এবং শুধু এখানে নয়, সারাদেশে তাদের নামে যত স্থাপনা আছে সবগুলোর নাম পরিবর্তন করা হোক। আমরা প্রশাসনকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। এই সাত দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিভাবে নাম পরিবর্তন করা না হলে আমরা মাঠে নামবো।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলন ইবির আরেক সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী বলেন, অবাক করার বিষয় হচ্ছে ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় ছাত্র জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে খুনি হাসিনা। ভারতের দাদাগিরি দেখানোর মতো দুঃসাহস এই বাংলায় হবে না। এছাড়া এতগুলো প্রাণ হত্যা করার পর কোন লজ্জায় সে ভাষণ দেওয়ার দুঃসাহস দেখায়? খুনি হাসিনাকে লজ্জা দেওয়ার জন্যই আজকে তার মুখে জুতো মারার কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।