গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসীদের নির্মম হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী আবুল কাশেম (২০) নিহতের ঘটনায় কফিন মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগের উদ্দেশে কফিন মিছিল বের করে সংগঠনটি।
ছাত্র-জনতা এ সময়- ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘আমার ভাই কফিনে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘ছাত্র-জনতার অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’; ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, খুনি হাসিনা গেলি কই’; ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’; ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে আজ বেলা ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবুল কাশেম। মিছিলের আগে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
কাশেমের মৃত্যুর ঘটনায় এর আগে কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। কর্মসূচি অনুযায়ী— সারা দেশের প্রত্যেক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে শহীদ আবুল কাশেমের গায়েবানা জানাজা এবং আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে খাটিয়া মিছিল করা হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, জাতিসংঘের রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে খুনি হাসিনার নির্দেশে জুলাই মাসে রাজপথে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ফেয়ার ট্রায়াল হলে খুনি হাসিনার শাস্তি সহজেই নিশ্চিত হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আজকে আয়না ঘর প্রকাশিত হয়েছে, আজকেই অভ্যুত্থান বিষয়ক জাতিসংঘের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, আজকেই আমাদের ভাই শহীদ হলেন। বিপ্লবী ভাইয়ের শাহাদাত আমাদের ব্যর্থতা। আমরা এতদিন পর্যন্ত সুবিচার নিশ্চিত করতে পারিনি, আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর এ ভূখণ্ডের দখল আমরা পেয়েছি। ৫ আগস্টের পরে হয় আমরা থাকব না হলে আওয়ামী লীগ থাকবে। বিপ্লবীরা ও আওয়ামী লীগ এক সঙ্গে এ দেশে থাকতে পারে না। আমরা স্পষ্ট করে সরকারকে বলতে চাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর শাস্তি নিশ্চিত করুন এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।