অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে যুদ্ধবিমান থেকে বোমাবর্ষণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে অন্তত তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অনন্ত ২৭ জন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কারজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অপরদিকে রামাল্লায় পৃথক হামলায় আরেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সোমবার ভোররাত পর্যন্ত জেনিন শহর ও জেনিন শরণার্থী শিবিরে অন্তত ১০ বার বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত এবং কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্টের পরিচালক মাহমুদ আল-সাদি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আকাশ থেকে বোমা ফেলা হচ্ছে, স্থলভাগ থেকে হামলা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি বাড়ি ও স্থানে বোমা ফেলা হয়েছে, সব জায়গা থেকে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরাইলি বিমান হামলার পর পরই দখলদার সেনাদের সাঁজোয়া যানের বহর জেনিনে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়।
খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় প্রকাশ করেনি। নির্বিচার বিমান হামলায় অনেক বাড়িঘর ও স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা একটি ‘জয়েন্ট অপারেশন্স সেন্টারে’ হামলা চালিয়েছে। এটি বিভিন্ন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত জেনিন ব্রিগেডসের কমান্ড সেন্টার হিসেবে কাজ করত।
এর আগে জেনিনের কাছে ইসরাইলি বাহিনী তিনজন বন্দুকধারীকে হত্যা করে।
অপরদিকে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরের উত্তর গেটে সোমবার রাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে আরেক ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হয়েছেন। ২১ বছর বয়সি ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ হাসানিন।
সাম্প্রতিক সময়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি হামলা বেড়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত অন্তত ১৭৭ জন ফিলিস্তিনি, ২৫ জন ইসরাইলি, একজন ইউক্রেনিয়ান এবং একজন ইতালিয়ান নিহত হয়েছে।