সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আল্লাহ ও রাসুল (সা.) এবং ধর্ম অবমাননাকারী রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমান ও সোহেল হাসান গালিব এবং স্বামীকে আটক রেখে রোযাদার স্ত্রীকে উপর্যপুরী ধর্ষণের দায়ে সাবেক র্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় হাটহাজারী ডাক বাংলো চত্বরে হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতের সহ সভাপতি মাওলানা আশরাফ হোসাইনের সভাপতিত্বে হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এমরান সিকদার ও জনাব মোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মীর ইদরিস নদভী।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের প্রধানতম অস্ত্র ছিল দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং এর ছত্রছায়ায় নানান দুর্নীতি-অনিয়ম, খুন-গুম ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করা। অভ্যুত্থান পরবর্তী এমন ধর্মীয় সর্বোচ্চ অনুভূতির জায়গায় আঘাতের মাধ্যম সেই একই চক্রান্তের পূনরাবৃত্তি করতে চাচ্ছে ঘাপটি মেরে থাকা গালিব ও রাখাল রাহার মতো পতিত স্বৈরাচারের দোসররা।
বাকস্বাধীনতার নামে একশ্রেণীর বিকারগ্রস্ত মানুষ ইসলামকে, ইসলামের নবীকে বারবার অবমাননার চেষ্টা করে যাচ্ছে। নাস্তিকতার আড়ালে তারা এদেশের মানুষের মধ্যে বৃহদাকারে দাঙ্গা তৈরি করে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে।
ঘৃণা ছড়ানো বাক্স্বাধীনতা নয় উল্লেখ করে বক্তারা বলেন,বাক্স্বাধীনতার সীমা-পরিসীমাগুলোও সবার জানা থাকা জরুরি। কিন্তু এ দেশে মূলত ব্যক্তিগত হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে নাস্তিকতা, মুক্তমনা ও প্রগতিশীলতা চর্চার নামে ইসলাম, রাসুল (সা.) ও মুসলমানদের নিয়ে জনপরিসরে কটূক্তি ও ঘৃণার চর্চা দেখা যায়। এটা রোধ করার দায়িত্ব সরকারের।’ তাঁরা বলেন, বিশেষত দিল্লির যোগসাজশে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নতুন অস্থিরতা তৈরি করার উদ্দেশ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী প্রগতিশীল লোক তৌহিদি জনতাকে একের পর এক উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা সরকারকে অবিলম্বে এ সব উসকানিদাতাকে থামাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
র্যাব সদস্য আলেপের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের আহবান জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাহিনী র্যাবের সদস্য হয়ে সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে একজন ধর্মপ্রাণ নাগরিককে আটক করে তার স্ত্রীকে দফায় দফায় ধর্ষণ করেছে।এধরনের অপরাধীদেরকে কোনভাবেই ছাড় দেয়া চলবে না। এদের বিচার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় দেশের আপামর মুসলিম তৌহিদী জনতা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী,মাওলানা আব্দুল্লাহ,জনাব নূর মুহাম্মদ,মাওলানা নজরুল ইসলাম ওমানী,মাওলানা মুফতী বশিরুল করিম,মাওলানা নিজাম সাইয়িদ, মাওলানা হাফেজ আব্দুল মাবুদ, মাওলানা আসাদ উল্লাহ, জনাব আবু তাহের রাজিব, জনাব রাশেদুল ইসলাম, ছাত্রনেতা আবরার কাউসার প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।