বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। বুধবার বিকেলে এ সংগঠনের নেতৃত্বের নাম ঘোষণা ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ ও পাল্টাপাল্টি স্লোগান, যা এক পর্যায়ে সংঘাতে রূপ নেয়৷ এতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। নারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা।
ঢাবিতে এ হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর বাংলামোটরে সড়ক অবরোধ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, যদি হামলার সুষ্ঠু বিচার না হয়, তাহলে তারা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে নয়টার দিকে একদল শিক্ষার্থী বাংলামোটর মোড়ে একপাশের সড়ক অবরোধ করে, ফলে কারওয়ান বাজার থেকে শাহবাগ অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে তারা সড়ক ছেড়ে দেয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক এম জে এইচ মঞ্জু বলেন, নতুন বাংলাদেশ অর্জনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল। কিন্তু তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
হামলার বিচার না হলে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান মঞ্জু।
যদি হামলাকারীদের বিচার না হয়, তাহলে ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘ঢাকা ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এদিকে রাত ১টার দিকে মোবাইল ফোনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (সমন্বয়ক) ও ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী নাঈম আবেদিন গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাবিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ দুপক্ষের সংঘর্ষ ঘটনায় সমাধান করতে ঢাবি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (সব সমন্বয়ক) একসঙ্গে এখনও বৈঠক করা হচ্ছে। এই বৈঠক শেষ হতে রাত তিনটা বাজতে পারে। এরপর বৈঠকের বিষয়ে জানানো হবে।
তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে করে কোনোভাবে নিজেদের মধ্যে কোনও বিভেদ না থাকে।