অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। এমন অপরিচ্ছন্নতার কারণে বেড়েছে মশার উপদ্রব। শিক্ষার্থীরা বলছেন, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ আর মাত্রাতিরিক্ত মশার উপদ্রবে তারা এখন বিরক্ত।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের দুই হলের পাশের পুকুর, শেখ হাসিনা হলের পিছনে, প্রশাসনিক ভবনের নিচে, একাডেমিক ভবনের পাশে, ছাত্রী হলের সামনে, মন্দিরের পাশে, ক্যাফেটেরিয়ার পাশে, মেইন গেটের দক্ষিণে, ছয়দফা বেদীর পেছনে ময়লা ও পানি জমে আছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তে পানি জমা হচ্ছে। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন ব্যবস্থা। নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না ক্যাম্পাসের ময়লা। ফলে বাড়ছে মশার উপদ্রব।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের জলাশয়গুলো যেন ডোবায় পরিণত হয়েছে। এর একটা সমাধান দরকার।
বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ বেলাল বলেন, প্রায় প্রতিটি জেলা শহরে ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের খবর শোনা যাচ্ছে। আমার ক্যাম্পাসের কয়েকজন বন্ধুর এরই মধ্যেই ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দিয়েছে। পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে বারবার কথা বললেও প্রশাসন তেমন কোনো ব্যবস্থা নেননি। এখন একটাই দাবি, দ্রুত এই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান এবং ভার্সিটির মেডিকেলে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় ক্যাম্পাস ভালোভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। আর ডাস্টবিনে চাকা পাশ দিয়ে খোলার ব্যবস্থা না থাকায় ময়লা পরিষ্কারে আমাদের বেগ পেতে ইচ্ছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় কোনো ডাস্টবিন নেই, যেখানে ময়লা রাখা যাবে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. শাম্মী আরা নিপা বলেন, শিক্ষার্থীরা জ্বর নিয়ে অনেকে আসছেন। তবে ডেঙ্গু কিনা তা নির্ণয়ের মতো যন্ত্রপাতি বা মেশিন আমাদের নেই। সাধারণ কিছু উপসর্গ দেখা মিলেছে। সবাইকে সচেতন থাকার কথা জানান তিনি।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, উপাচার্য মহোদয় এ বিষয় এস্টেট শাখাসহ অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। হল প্রশাসনসহ অন্যদের পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন।