ঝালকাঠি শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাক্তার পট্টিতে (স্বর্ণকার পট্টি) বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে দুবৃত্তরা।
রোববার সন্ধ্যায় ইফতার চলাকালীন হঠাৎই বোমা বিস্ফোরণে ঝালকাঠি শহর কেঁপে উঠে। এ সময় সাতটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর গ্লাসে ২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে হামলাকারীরা। গ্লাস ভেদ করে গুলি বের হয়ে যায়। তবে গুলিতে কেউ আহত হয়নি এমনটা জানা গেছে। বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতরা একটি মিনি পিকআপ করে শহরের সাধনা মোড় হয়ে ফায়ার সার্ভিস চাদকাঠি হয়ে ঝালকাঠি বরিশাল সড়কে উঠে ষাইট পাকিয়া হয়ে বরিশাল শহরের দিকে চলে যায়।
ঘটনা জানতে পেরে, ষাইট পাকিয়া ও জেলা পুলিশ লাইনের সামনে পুলিশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এতে ২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও ৫ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিদর্শন করেছে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় ঝালকাঠি শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার জন্য এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ডাকাতি চেষ্টা চালিয়ে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা বিএনপি এই ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে এই ধরনের অরাজকতা ও অপকর্ম প্রতিরোধ করবে।
জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো.শামীম তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য একটি চক্র সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এধরনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, সন্ধ্যায় ইফতারের জন্য সবাই যে যার মতো ব্যস্ত ছিল। সেই সুযোগে ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু তা স্থানীয়দের সচেতনতার কারণে ডাকাতরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। আমরা সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে শনাক্ত করণের চেষ্টা করছি।