পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে চুরির অভিযোগে আটক এক যুবকের মোবাইল ঘেঁটে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য—তিনি ধর্ষণের পর এক নারীকে হত্যা করেছেন।
গত শনিবার রাতে আটোয়ারীর রাধানগর এলাকায় ইজিবাইক চুরির সময় স্থানীয়রা রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩) নামে এক যুবককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ তার মোবাইল ফোনে এক নারীর হত্যার ছবি ও ভিডিও পায়। জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত স্বীকার করেন, ৫৩ দিন আগে এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেলপথে ফেলে রেখেছিলেন।
পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এলো নতুন মোড়
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুনসী জানান, ১৩ জানুয়ারি রাতে ট্রেনে দিনাজপুর থেকে পঞ্চগড় আসার পথে রিফাতের এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তাকে নিয়ে আটোয়ারীতে নেমে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং হত্যা করে লাশ রেলপথে ফেলে দেন।
পরদিন ১৪ জানুয়ারি, আটোয়ারীর রেলপথ থেকে এক নারীর খণ্ড-বিখণ্ড লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রিফাতকে আটকের পর তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে—একটি ধর্ষণের পর হত্যা, অন্যটি ইজিবাইক চুরির অভিযোগে। গতকাল রোববার আদালতে হাজির করা হলে তিনি ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
ভুল লাশ দাফন ও ডিএনএ পরীক্ষা
লাশ উদ্ধারের পর দিনাজপুর রেলওয়ে থানা ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের অনুমতি দেয়। এদিকে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার এক ব্যক্তি তার ১৭ বছর বয়সী নিখোঁজ মেয়ের লাশ ভেবে সেটি দাফন করেন।
তবে রিফাতের মোবাইলে পাওয়া ছবি ও ভিডিও দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়, দাফন করা লাশটি তার মেয়ের নয়।
এ ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে। নিখোঁজ কিশোরীর বাবা-মায়ের নমুনা এবং রেলপথে উদ্ধার লাশের আলামত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।