কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় শুয়ে পড়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা করা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সকালে তারা পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপরই শিক্ষকরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে কাফনের কাপড় মুড়িয়ে শুয়ে পড়েছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে সড়কের যান চলাচল।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায় কদম ফোয়ারা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। অনতিবিলম্বে সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত সুনিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থানের পর প্রধান উপদেষ্টা বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ ব্যানারে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাত্রার প্রস্তুতি নেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কিন্তু শুরু থেকে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। শিক্ষকরা কিছুটা অগ্রসর হয়ে কদম ফোয়ারা মোড়ে এলে পুলিশ সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে মানববন্ধন তৈরি করে তাদেরকে বাধা দেয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষকরা কদম ফোয়ারা মোড়েই বসে যান। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি জলকামান আনাও হয়েছে।
শিক্ষকরা সড়কে বসে যাওয়ায় পল্টন থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে হয়ে হাইকোর্টের দিকে আসার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে মৎস্য ভবন থেকে শিক্ষা ভবনের দিকে আসার রাস্তা দিয়েও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে পথিমধ্যে থাকা যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন।
পরে পুলিশ পল্টন থেকে কদম ফোয়ারার দিকে আসার রাস্তায় থাকা গাড়িগুলো প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ইউটার্ন দিয়ে আবারো পল্টনের দিকে পাঠায়। অন্যদিকে মৎস্য ভবন থেকে আসা রাস্তার গাড়িগুলোকে বিকল্পভাবে শিক্ষা ভবনের দিকে যাওয়ার পথ করে দেয়। বর্তমানে এই দুটি সড়কে গাড়ির তীব্র জট তৈরি হয়েছে।
সড়কে বসে পড়া শিক্ষকদের দাবি, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যদি কেউ এখানে না আসে, তবে রাস্তা থেকে উঠবেন না।
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো হচ্ছে— সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে; বিশেষ শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষা ভাতা তিন হাজার টাকা নিশ্চিত করতে হবে; শিক্ষার্থীদের মিড ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ, খেলাধুলা সরঞ্জাম প্রদান ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন সুনিশ্চিত করতে হবে।