নেত্রকোণার পূর্বধলায় ধর্ষণ চেষ্টা চালালে পারভেজ মিয়া (২৫) নামের এক যুবক পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন এক তরুণী। উপজেলার রাজধলা বিলের পশ্চিমপাড়ে পরিত্যক্ত একটি ঘরে সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
আহত পারভেজ নেত্রকোণা জেলার ত্রিমোহনী এলাকার আব্দুল মন্নান বেপারীর ছেলে এবং ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত। সে সদর ইউনিয়নের তারাকান্দা গ্রামে তার মামার বাড়িতে থাকত এবং পূর্বধলা বাজারে তার মামার লেপ-তোষকের দোকানে কাজ করত।
অভিযুক্ত তরুণী সুমাইয়া আক্তারের (২২) বাড়ি উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের বিষমপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের আব্দুল গনি সরকারের মেয়ে ও উপজেলার রাবেয়া আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজের স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। উক্ত ঘটনায় আহত পারভেজ মিয়াকে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে উদ্বার করে পূর্বধলা হাসাপাতালে নিয়ে আসে কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ প্রেরণ করা হয়।
ভুক্তভোগী তরুণী সুমাইয়া জানায়, পূর্বধলা বাজারের সোনালী স্টোরের কর্মচারী মো.জাহিদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিক জাহিদের সঙ্গে দেখা করতে ওইদিন সে পূর্বধলা সদর বাজারে আসে। পরে জাহিদ তার বন্ধু পারভেজকে ডেকে নিয়ে আসে এবং বিভিন্ন ধরনের কথা বলে তাকে নিয়ে রাজধলা বিলপাড়ে নিয়ে যায়। পরে তারা দুজন মিলে তাকে বিলের পশ্চিম পাশে একটি বাগানের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই তরুণী পাশে পরে থাকা পরিত্যক্ত ব্লেড দিয়ে পারভেজের পুরুষাঙ্গে টান দেয়। এতে পারভেজের পুরুষাঙ্গের অর্ধেক কেটে যায়। পরে তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে পূর্বধলা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে আহত পারভেজের পরিবার সাথে যোগাযোগ করলে তারা ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সোমবার বিকালের দিকে দোকান থেকে মোটরসাইকেল যোগে ২ তরুণ পারভেজকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ৪/৫ জন তরুণ রাজধলা বিল পাড়ের পশ্চিম পাশের একটি বাগানের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ব্লেড দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে। এ সময় ওই তরুণীও সেখানে উপস্থিত ছিলো। পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।
এ বিষয়ে আগামীকাল পারভেজের অবস্থা স্থিতিশীল হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তার পরিবার।
পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, পারভেজের পুরুষাঙ্গের ৫০ ভাগ কেটে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল আলম বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।