ডিপিএলে একজন ব্যাটার আউট হলেন স্ট্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে, কমেন্ট্রিতে থাকা কমেন্ট্রেটরা একটু অবাক হয়ে প্রশ্ন করছেন ব্যাটার এমন আউট কেন হলো, চাইলেই তো তিনি আউট এড়াতে পারতেন। একই প্রশ্ন ক্রীড়া প্রেমিদেরও। কারণ বল যখন উইকেট কিপারের কাছে যায় তখন তিনি ক্রিজে থাকলেও আবার অদ্ভুতভাবে পেছনে টেনে নেওয়া হয়, যার ফলে আউট হন তিনি। এবার এমন আউট নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন বিসিবিও।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বুধবারেই ওই ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৫ রানে হারিয়েছে নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। এই জয়ে গুলশান লিগে তিনে থেকে সুপার লিগে খেলা নিশ্চিত করেছে।
গুলশানের এই জয় নিয়েও শুরু হয় প্রশ্নের, শাইনপুকুরের ব্যাটাররা ইচ্ছাকৃত আউট হয়ে একটা ক্লাববে সুপার ফোরে উঠতে দেয়নি। ডিপিএলের মান, ম্যাচ ফিক্সিংসহ নানা অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও সবর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক টিভি ফুটেজে দেখা যায়, স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির স্টাম্পিংয়ের শিকার হন এমন একটি অবস্থায়, যেখানে তার ব্যাট ক্রিজে প্রবেশ করার পর আবার অদ্ভুতভাবে পেছনে টেনে নেওয়া হয়। অনেকে এটিকে স্বাভাবিক ক্রিকেটীয় ভুল না বলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছেন। ইমরুল কায়েস, শামসুর রহমান শুভ, শাহরিয়ার নাফীসদের ভাষ্যও এমনই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং ম্যাচটি ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি তদন্তে মাঠে নেমেছে বোর্ডের দুর্নীতি দমন ইউনিট ও লিগের টেকনিক্যাল কমিটি। বিসিবি জানিয়েছে, খেলাধুলার নৈতিকতা রক্ষা এবং খেলার সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঘটনার তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে বোর্ড।
যারা এ ঘটনায় জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ইমরুলের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘আমরা যারা বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখি, সেই স্বপ্নকে বাস্তব করতে দিনরাত খেটে যাচ্ছি- আর কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষ নিজেদের স্বার্থে গোটা দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চেষ্টা করছে উন্নতির, কিন্তু এইসব ঘটনাগুলো সেই চেষ্টাকেও মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছে।
আমি জোরালোভাবে দাবি জানাই- এদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা এই কাজে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। আর যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত আজকের ম্যাচ বাতিল করে পুনরায় রিশিডিউল করা উচিত। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এভাবে শেষ হতে দেওয়া যায় না। আজকে চুপ থাকলে, কাল হয়তো আর কিছু বলার সুযোগ থাকবে না।