যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ সকারে লস এঞ্জেলেসের বিপক্ষে চলছিলো ইন্টার মিয়ামির ম্যাচ। মাঠের খেলা গড়ালো ৮৯ মিনিটে, হঠাৎই সব ক্যামেরা এক জায়গায় আটকে পড়লো। জটলার মধ্যেই ঘটেছে কিছু একটা, সতীর্থ আলবার কাঁধে হাত দিয়ে জোরে চাপ দেন সুয়ারেজ। এতে ব্যথা পেয়ে আলাবা তার হাত উঁচু করলে আঙুলে কামড়ে দেন সাবেক বার্সা ও উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার সুয়ারেজ। কামড়া-কামড়ির ঘটনা যিনি আগেও উঠে আসেন আলোচনা।
গত ১০ এপ্রিল কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ম্যাচে ঘটে এমন হাস্যকর ঘটনা।
এই ম্যাচে লিওনেল মেসির সঙ্গে ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন লুইস সুয়ারেজ। ওই দলে আছেন তাদের বার্সার সাবেক সতীর্থ জর্ডি আলবা ও সার্জিও বুসকেটস। ইন্টার মিয়ামি ৩-১ গোলে জিতে, তবে ম্যাচ জয়ের চেয়ে বেশিই মাতামাতি চলছে কামড় নিয়ে।
ওই ম্যাচের ৮৯ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা গেছে সতীর্থ জর্ডি আলবার আঙুলে কামড়ে দিয়েছেন সুয়ারেজ।
সুয়ারেজ হয়তো মনে করেছিলেন আঙুলটা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের। ওই সময় আলবাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন সাবেক চেলসি ও এসি মিলানের ফরাসি স্ট্রাইকার অলিভার জিরু।
কামড়া-কামড়ি নিয়ে ফুটবল মাঠে এটি সুয়ারেজের জন্য চতুর্থবারের ঘটনা।
ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ বিশ্বকাপে তিনি ইতালির ডিফেন্ডার কিয়েল্লিনির কাঁধে কামড়ে দিয়েছিলেন। দাঁতের দাগ পর্যন্ত বসে গিয়েছিল ইতালির সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের কাঁধে। কামড় কাণ্ডে তখনই সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছিলেন।
এর আগে, ২০১০ সালে আয়াক্সে খেলাকালীন এই স্ট্রাইকার উসমান বাক্কালকে কামড়ে দিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় তিনি সাত ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন।
এরপর ২০১৩ সালে লিভারপুলে খেলার সময় চেলসির ব্রানিসলাভ ইভানোভিককে কামড়ে ১০ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন।
কিয়েল্লিনিকে কামড়ের ঘটনায় তিনি ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এবার সতীর্থকে কামড় দেওয়ায় তিনি নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে বেঁচে যাচ্ছেন।