জুলাই আন্দোলনে হামলাকারী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) কর্মী টিকলি শরীফসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ববি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোলা রোড থেকে বন্দর থানা পুলিশের হাতে ঐ তিনজনকে তুলে দেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেটের সম্মুখে ভোলা রোডের একটি দোকানে টিকলি শরীফসহ তিন জনকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। এর পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করলে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর এসে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী টিকলি শরীফ জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলার অন্যতম আসামী। টিকলি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বাকি দু’জন একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মামুন হোসেন ও তরিকুল শেখ। তবে, তারা দু’জন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী।
ছাত্রদল নেতা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কয়েকজন জুনিয়র ফোন করে জানায় টিকলি শরীফসহ কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী ক্যাম্পাসের সম্মুখে গোপন মিটিং করছে। পরে আমিসহ আরও কয়েকজন এসে তাদেরকে আটক করি এবং পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রদলের আরেক নেতা মোশাররফ হোসেন বলেন, এখনও ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে ছাত্রলীগ। টিকলী শরীফ জুলাই আন্দোলনে হামলা করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের থেকে একটা নামমাত্র মামলা করা ছাড়া কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়াও, আজকের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নির্দেশে তিনজনকে বন্দর থানায় পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। প্রক্টরের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সোনিয়া খান সনিকে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।