বিএনপি দেশের সব মানুষের দাবি-দাওয়া নিয়ে একসঙ্গে সংস্কার কাজ চালাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেছেন, “এতটুকু বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে চাই, আমরা সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের যে দাবি-দাওয়া আছে, সবকিছুকেই আমরা একসঙ্গে নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম চালাতে চাই। হতে পারে বিভিন্ন মানুষের কাছে বিভিন্ন বিষয় গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু আমরা চাই, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে সামনে নিয়ে যেতে।”
বৃহস্পতিবার বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি আয়োজিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। গণতন্ত্রে মতপার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা বসব, আমরা আলোচনা করব এবং সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব।
“কোনোভাবেই যেন গণতন্ত্রের উত্তোরণ, মানুষের ভোটের অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার বাধাগ্রস্ত না হয়। কারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং রাজনৈতিক অধিকার যদি বাধাগ্রস্ত হয় সবকিছু তাহলে ধ্বংস হয়ে যাবে, সবকিছু তাহলে বাধাগ্রস্ত হয়ে যাবে।”
তারেক রহমান বলেন, “বিগত ১৫ বছর জনগণের সেই রাজনৈতিক অধিকার বা এক কথায় ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল এবং ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। তার ফলশ্রুতিতে আমরা দেখেছি- দেশের বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে, দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন ধরনের অধঃপতন শুরু হয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়েছে। ব্যাপারটি অনেকটি ডায়াবেটিক রোগীর মত।”
১৫ বছরে বহু নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে, বহু নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেছে; তাদের এই বলিদানকে কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না- মন্তব্য করে তিনি বলেন, “পৃথিবীর কোনো দেশে যুদ্ধ না হলে শিশু হত্যা হয় না। কিন্তু জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনে আমরা দেখেছি সেই পলাতক স্বৈরাচারের নির্বিচার অত্যাচারের কারণে দেশের একশর বেশি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এই শিশুদের কোনো অপরাধ ছিল না।”
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।