নারী কেলেঙ্কারীতে অভিযুক্ত ও আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে অভিযুক্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের কার্যালয় তালাবদ্ধ করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, উপাচার্যের নির্দেশে বন্দর থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সানোয়ার পারভেজ লিটন বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
গতকাল রোববার দুপুর ১.৩০ টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ববি রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের কুশপুত্তলিকা দাহ করে রেজিস্ট্রারের কক্ষসহ তার দপ্তরের সকল কর্মকর্তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন৷
শিক্ষার্থীদের ঐ অংশ, ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক চুক্তিভিত্তিক নিযোগপাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অপসারণ, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষকদের লাভজনক কমিটি থেকে অপসারণ এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করায় উপচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন।
এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুর্নবাসনের অভিযোগ এনে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের নামে উপাচার্যের বাসভবনের গেট ভাঙার অভিযোগ এনে প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ববি উপাচার্য শুচিতা শরমিন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদি আমলেও এমন যৌক্তিক আন্দোলনে হামলা মামলা দিয়ে আন্দোলন দমন করা হতো। এখনো আমরা দেখছি আমাদের উপাচার্য আন্দোলন দমন করতে ফ্যাসিবাদের ন্যায় মামালা দিয়ে যৌক্তিক আন্দোলন দমন করতে চাচ্ছে। এসব করে উপাচার্য ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের পথ সুগম করতে চায়। যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে করতে দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, “এসব মিথ্যা মামলা জিডি করে আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন থামানো যাবে না।”
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, “ভিসি একদিকে বেআইনি ক্ষমতাবলে স্বৈরাচারের দোসরদের রক্ষা করছেন, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলন দমনে একের পর এক মামলা দিয়ে সকল যৌক্তিক আন্দোলন দমনের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রশাসনের এ ধরনের ফ্যাসিস্ট আচরণ নিন্দনীয়।”
এ বিষয়ে সিকিউরিটি অফিসার সানোয়ার পারভেজ লিটন বলেন “বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী, রেজিস্ট্রারের রুমে তালাবদ্ধ করে এ কারণে কতৃপক্ষের নির্দেশক্রমে আমার পক্ষ থেকে জিডি করা হয়েছে, আসলে আমার পক্ষ থেকে বলতে উপর থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হয় সেটাই আসলে আমার করতে হয়,অতীতের মামলাগুলোও তাদের নির্দেশক্রমেই করতে হয়েছে।”
ঘটনার প্রসঙ্গে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনিকে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া মেলেনি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে একাধিকবার কল করেও সাড়া মেলেনি।