তরুণ প্রজন্মকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও গবেষণা কর্মে অনুপ্রেরণা দেওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে ‘শাহীনা রব স্মৃতি পদক ২০২৫’ পেয়েছেন লেখক ও চিন্তাবিদ মাসুদ রানা (শেখ সাগর)।
গত শনিবার (৩ মে) রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন আহমদের হাত থেকে মাসুদ রানা সাগরের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন তার ছোট ভাই সৈকত আহমেদ।
তরুণদের অনুপ্রাণিত করার প্রেক্ষাপট নিয়ে লেখক শেখ সাগর ফেস দ্যা পিপলকে বলেন, ‘আমি এমন এক তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন দেখি, যারা ফিরে যাবে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের দিকে যেখানে ছিলো বাগদাদ, স্পেন এবং মুসলিম খেলাফতের সোনালি যুগ। আমি এমন এক প্রজন্ম চাই, যারা হবে ইবনে সিনা, ইবনে রুশদ, ইবনে তাইমিয়া ও আল-জাযরির মতো চিন্তাবিদ, বিজ্ঞানী ও দার্শনিকের উত্তরসূরি। তারা আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে জ্ঞান, নীতি ও আদর্শের মাধ্যমে। তাদের হাত ধরেই ফিরে আসবে ইসলামী সভ্যতার হারানো গৌরব। আমি চাই আমাদের তরুণরা শুধু প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানেই পারদর্শী হবে না, বরং সালাহউদ্দিন আইয়ুবির মতো আদর্শ ও নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠবে। তারা হবে আমাদের ভবিষ্যৎ খেলাফতের পুনর্গঠনের মূল শক্তি।’
দেশগ্রাম মিডিয়া সেন্টারের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মাহদীর সভাপতিত্বে এবং টিমনী খান রীনার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সদস্য সচিব মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান, সাহিত্যিক ও ইতিহাস গবেষক সৈয়দ নাজমুল আহসান, লেখক মো. নূরুল ইসলাম, গবেষক নাসির হেলান, কবি আজরা পারভীন সাঈদ, অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ ও রফিকুল আলম মিলন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশব্যাপী থেকে আগত কবি, সাহিত্যিক ও গবেষকগণ ।
মাসুদ রানা সাগর চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং শেখ রবিউল হকের ছেলে। লেখালেখির জগতে তার অবস্থান সুদৃঢ়। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশ থেকেই তার বই প্রকাশিত হয়েছে। অনলাইনে ‘রকমারি’ প্ল্যাটফর্মে তিনি বেস্ট সেলার লেখকের স্বীকৃতিও পেয়েছেন।
তার জনপ্রিয় গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে তৃষ্ণার্ত মুসাফির, ও যুবক! ইউ আর দ্যা গেমচেঞ্জার এবং যেমন তরুণ চাই। তার এ অর্জনে চুয়াডাঙ্গার তরুণ সমাজে আনন্দ ও গৌরবের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়েছে।