চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার চিহ্ন দেখা গেছে। ‘লিন্ডে’ কোম্পানির একটি সিলিন্ডারে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে—ফিল ডেট: ১০.০১.২২ এবং এক্সপায়ারি ডেট: ০৯.০১.২৫। অর্থাৎ, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই সিলিন্ডারটির নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে, তবুও তা এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এই সিলিন্ডার রাখা আছে রুগীকে অক্সিজেন দেওয়ার জন্য। সিলিন্ডারের ছবি তুলতে গেলে একজন নার্স আরেকটা সিলিন্ডার এনে ওই সিলিন্ডারের পাশে রাখে।
একজন রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যেখানে মানুষের শ্বাসই নির্ভর করে এই সিলিন্ডারের ওপর, সেখানে মেয়াদ পার হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।”
এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা মাসুদ পারভেজ বলেন, ওই সিলিন্ডারটি লিণ্ডে কোম্পানির হলেও ২০১০ থেকে স্পেক্টা কোম্পানির সঙ্গে আমাদের অক্সিজেন সিলিন্ডারের চুক্তি হয়েছে, আমরা স্পেক্টা কোম্পানির কাছে থেকে সিলিন্ডার নেই তারাই এই বিষয়ে বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আরএমও ড: মোঃ আব্দুস সামাদ বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ঘটনা নিয়ে স্পেক্টা ইন্টারনেশনাল লি: এর রাজশাহী ডিপো ইনচার্জ মীর আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘এই সিলিন্ডার কোনোভাবেই স্পেক্টা কোম্পানির হতে পারে না ,কারণ আমরা একটা সিলিন্ডার রিফিউল করার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করি ও পরীক্ষা তাই আমাদের স্পেক্টা কোম্পানির সিলিন্ডারে লিণ্ডে কোম্পানির স্টিকার থাকবে না।’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে নিয়মিতভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার পরীক্ষা এবং মেয়াদ যাচাই করার কার্যক্রম চালু না থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তারা অনতিবিলম্বে হাসপাতালের সব সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষার দাবি জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল—স্বাস্থ্যসেবা খাতে শুধুমাত্র সরঞ্জাম থাকলেই হয় না, তার সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণও সমান গুরুত্বপূর্ণ।