বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভাষা ও অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, এ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় গায়ের জোর খাটাচ্ছে এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের কথাবার্তায় পরিণত আচরণের অভাব স্পষ্ট।
মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকার খিলক্ষেতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্রদল নেতা রাকিবুল হাসানকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রিজভী। এ সময় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বয়স ও আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ওনার বয়স খুবই কম। হঠাৎ করে এত বড় দায়িত্ব পাওয়ায় কথাবার্তায় ভারসাম্য আসছে না। যা বলছেন, তাতে অভিজ্ঞতার অভাব স্পষ্ট।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়েও বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। আদালতের রায় তার পক্ষে গেলেও নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকার তা মানতে নারাজ। চট্টগ্রামে ডা. শাহাদাত যদি মেয়র হতে পারেন, তাহলে ইশরাক কী দোষ করল?— প্রশ্ন তোলেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত অপরাধীদের এখনও বিচার হয়নি। অথচ অন্তর্বর্তী সরকার ব্যস্ত অকাজে, রাজনীতিবিদদের দমনে এবং বিরোধী কণ্ঠ রোধে। জনগণের দাবির বিপরীতে সরকার যেন প্রতিহিংসার পথেই হাঁটছে।
সাম্প্রতিক আন্দোলন ও পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি নেতা। তিনি জানান, যখন শিক্ষকরা ন্যায্য দাবিতে যমুনা ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন, তখন তাদের অসম্মান করা হয়, পুলিশের সহিংসতা নামিয়ে আনা হয়। তিনি দাবি করেন,আওয়ামী লীগের আমলেই যেমন পুলিশি দমন-পীড়ন ছিল, অন্তর্বর্তী সরকারও সেই পথেই হাঁটছে। শেখ হাসিনা যেমন পুলিশ দিয়ে আন্দোলন দমন করতেন, এখনকার সরকারও তাই করছে।