সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা চালুর সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে কত শতাংশ হারে এই ভাতা দেওয়া হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন,নতুন অর্থবছর থেকেই মহার্ঘ ভাতা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে কিছুটা সময় লাগবে। কী পরিমাণ ভাতা দেওয়া হবে এবং কখন থেকে কার্যকর হবে, সে সিদ্ধান্তের জন্য একটি কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান,মহার্ঘ ভাতা চালুর জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় রয়েছে এবং সম্ভাবনা অনেকটাই রয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা চালুর আলোচনা শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। তবে অর্থনৈতিক সংকট ও বাজেট ঘাটতির কারণে তখন পরিকল্পনাটি স্থগিত করা হয়। অর্থনীতিবিদদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করায় সরকার তখন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতির চাপ এবং বেতন কাঠামোয় ভারসাম্য আনতে আবারও মহার্ঘ ভাতা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী ১ থেকে ৯ নম্বর গ্রেডের কর্মীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং ১০ থেকে ২০ নম্বর গ্রেডের কর্মীদের জন্য ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে অতিরিক্ত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। তবে ১-৯ গ্রেডের কর্মীদের ভাতা ১৫ শতাংশে বাড়ানো হলে ব্যয় বাড়বে আরও ৫০০ কোটি টাকা।
বর্তমানে সরকারি বেতন-ভাতার খাতে বার্ষিক বরাদ্দ প্রায় ৮৪ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী মোট বাজেটের প্রায় ১০.৪১ শতাংশ।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেই মহার্ঘ ভাতার চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি চাকরিজীবীরা স্বস্তি পাবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।