নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিক্ষক নিয়োগে যুক্ত হচ্ছে চার ধাপের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া। এখন থেকে আর কেবল ভাইভা পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে না।
বুধবার (২১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষক নিয়োগে কাঠামোগত পরিবর্তন এনেছি। এখন থেকে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো চারটি ধাপে যাচাই করে নিয়োগ দেওয়া হবে।”
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রার্থীদের প্রথমে একাডেমিক এক্সিলেন্সের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। এতে শিক্ষাজীবনের ফলাফল, গবেষণাকর্ম ও পিএইচডি ডিগ্রি বিবেচনায় নেওয়া হবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে হবে লিখিত পরীক্ষা।
এই দুটি ধাপে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তৃতীয় ধাপে ডাকা হবে প্রেজেন্টেশন বা ডেমো ক্লাসের জন্য। সবশেষ ধাপে নেওয়া হবে মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা)। যেখানে সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়া প্রার্থীকে দেওয়া হবে নিয়োগ।
উপ-উপাচার্য বলেন, “লিখিত পরীক্ষার জন্য একাধিক সেট প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়। সেখান থেকে উপাচার্য মহোদয় স্বেচ্ছায় যেকোনো একটি সেট নির্বাচন করেন। প্রশ্নপত্র আগে থেকে কেউ জানেন না। লিখিত খাতা দেখা হয় কোডিং পদ্ধতিতে, যাতে কোনো পক্ষপাতিত্বের সুযোগ না থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা থাকুক। যার যোগ্যতা সবচেয়ে বেশি, তিনিই যেন নিয়োগ পান।”বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, এই নতুন প্রক্রিয়া শিক্ষক নিয়োগে পেশাদারিত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে।