বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার গঠন আমাদের টার্গেট। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্টরা বসে নাই। তারা দেশে ও দেশের বাহিরে বসে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যেন বাংলাদেশে সামনের নির্বাচনটা না হতে পারে,গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।
শনিবার (২৪ মে) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তরজয়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাগুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়ার্ড ভিত্তিক নেতা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, বর্তমান সরকারকে আন্দোলন সংগ্রামের পর আমরাই বসিয়েছে, এ সরকার আমাদেরই সরকার। জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতেই এই সরকার চলছে। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি। প্রত্যেক উপদেষ্টাকে সতর্ক হতে হবে। তারা যদি সতর্ক না হন, দ্রুত হাসিনার বিচারের ব্যবস্থা যদি না হয়, দৃশ্যমান না হয়, ত্বরান্বিত যদি না হয়, তাহলে দেশের মানুষ খুব কষ্ট পাবে। বিপদে পড়বে। আবার আরেকদিকে নির্বাচনও করতে হবে। একদিকে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে হবে, আরেকদিকে দ্রুত সংস্কার করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার যে বলেছে, সংস্কার করতে ৩ মাস লাগবে, ৩ মাসের জায়গা ৬ মাস লাগবে, যাই হোক, এখনো দৃশ্যমান হয়নি।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সবাই মিলে যদি দেশটাকে ঐক্যের মধ্যে না নিয়ে যেতে পারি, সুদৃঢ় ঐক্যের ওপর ভর করে না গড়তে পারি, সুযোগ কিন্তু তারা নেবে। ফ্যাসিস্ট কিন্তু থাবা মারার জন্য বসে আছে। পাশ্ববর্তী দেশ তারাও কিন্তু ব্যাপকভাবে নাক গলাতে চায় এবং চেয়েছে। এজন্য দেশের প্রত্যেকটি মানুষ এক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এরইমধ্যে ফাটল ধরানোর কোন সুযোগ থাকতে পারবে না। যারা ফাটল ধরাতে চান, তারা পিছপা হয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে, সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে কোন ফাটল থাকবে ৫ আগেস্টর পর তা আমরা বিশ্বাস করি না। আমাদের শ্রম ঘাম ত্যাগ। ১৭ বছর সাধারণ মানুষ-নেতাকর্মী ও রাজনৈতিক দল যেভাবে আত্মহুতি দিয়েছে, গুম-খুনের শিকার হয়েছে, সবশেষ জুলাই আন্দোলনে যেভাবে শহীদ হয়েছে, এই ত্যাগ বৃথা যাবে না। এখনো রক্তের দাগ শুকায়নি।
খুনের বিচার খুব জরুরী এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনীর বিচার হতে হবে। হাসিনার দোসরদের বিচার হতে হবে। হাসিনার বিচার হতে হবে। আমরা তাড়াতাড়ি দৃশ্যমান বিচার দেখতে চাই। মাননীয় উপদষ্টোগণ আমরা আশা করছি এ ব্যাপারে বিশেষভাবে নজর দেবেন। খুব খুব বেশি সক্রিয় থাকবেন। সময় বার বার আসবেন না। সময় নষ্ট করা যাবে না। দেশের প্রয়োজনে, জাতির প্রয়োজনে বিএনপি যে দায়িত্ব নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, এ দায়িত্বের ভিত্তিতে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে আমরা শক্তিশালী করবো।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে আমরা শক্তিশালী করবে। আগামির বাংলাদেশটা অনেক সুন্দর হবে। সবাই মিলে আগামির বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখবো, শক্তিশালী হবে। শক্তিশালীর মধ্য দিয়ে আমাদের ঐক্যকে সুদৃঢ় রাখবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক বেলাল হোসেন প্রমুখ।