বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পুশ-ইনের অভিযোগ আবারও সামনে এসেছে। ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে শনিবার ভোরে ১৮ জন বাংলাদেশিকে সীমান্ত অতিক্রম করে দেশে ঢুকতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন জাহানারা খাতুন, যিনি বিজিবির হাতে আটকের পর ঘটনার নেপথ্যের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বিজিবি জানায়, ওই ১৮ জনকে ভারত থেকে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়েছে, যাকে পুশ-ইন বলা হয়। আটক ব্যক্তিরা সবাই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সহায়তায় সীমান্ত পার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
জাহানারা খাতুন বলেন, বিএসএফ আমাদের আগেই বলে রেখেছিল—দুটো গুলি ছোঁড়া হবে, তারপর সবাইকে দৌড়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে হবে। তিনি আরও জানান, গুলি ছোঁড়ার পর সবাই দৌড়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
এখানেই শেষ নয়, তিনি দাবি করেন যে, যদি বিজিবির হাতে ধরা পড়েন, তবে কী বলতে হবে তাও শিখিয়ে দিয়েছিল বিএসএফ। ওরা বলেছিল, বলবা আমরা ভারত যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম, বিএসএফ ধাওয়া দেয়ায় আবার ফিরে এসেছি।
বিজিবি সূত্র জানায়, আটক ব্যক্তিদের অধিকাংশই দিনমজুর এবং কয়েক মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন জীবিকার সন্ধানে। এরপর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের ধরে সীমান্তে এনে পুশ-ইন করে।
এমন ঘটনা সীমান্ত নিরাপত্তা ও মানবাধিকার প্রসঙ্গে বড় প্রশ্ন তোলে। নিয়মিত কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান চায় বাংলাদেশ। তবে বাস্তবে সীমান্তে এমন পরিস্থিতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপের ঘাটতি স্পষ্ট।