সিলেটের হবিগঞ্জে ক্যারম খেলার সময় সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাত পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে হবিগঞ্জ শহরের ধুলিয়াখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে একটি পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত নয়টার দিকে ধুলিয়াখাল পয়েন্টের কারাগার ফটকের কাছে ক্যারম খেলছিলেন কয়েকজন। খেলা চলাকালে একজন সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়েন ক্যারম বোর্ডের মাঝখানে। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে ধুলিয়াখাল মাস্টারবাড়ির আলমগীর হোসেন, সেলিম আহমেদ ও তানভীর পক্ষ এবং একই এলাকার মোল্লাবাড়ির শাহিন মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট ও কাঁদানের গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু জাবেরসহ পুলিশের সাত সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় সব মিলে প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন আবদুল শহিদ (৪৫), রুবিনা আক্তার (৩০), জাবেদ মিয়া (৩০), আল মামুন (৩০), নাজিমুদ্দিন (৩০), সফিক মিয়া (৩৫), এসআই আবু জাবের (৪৪), রবিউল হাসান (১৯), শিমুল (২৫), মিজবাহুল হাসান (১৮), ফখরুল ইসলাম (১৮), রাজু মিয়া (৩৬), শরীফুল মিয়া (২৮), আনোয়ার (৩০), সাজ্জাদ হোসেন (২৬), উজ্জ্বল মিয়া (১৭), শামসুর রহমান (৩৫) ও মিতু মিয়া (২৫)। তাঁরা হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আহত অন্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন স্থান থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের সাত সদস্যসহ বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয়েছে।
এ ঘটনায় আজ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।