২০১৬ সালের একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে এসে একজন মানুষ খুব আগ্রহ আর আবেগ নিয়ে শোনালেন হৃদয় নাড়া দেওয়ার গান। কিন্তু দর্শকদের কাছে সেইসব গান বদহজম হলো। অখাদ্য বললেন কেউ কেউ। সেই থেকে শুরু এরপর কত ঝড় ঝঞ্ছা এলো-গেলো তবুও বন্ধ হলো না গান। যার কথা বলছিলাম তিনি এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান, তাকে কে না চেনেন? তার অদ্ভুত গায়কীর কারণে দিনে দিনে বহু বাড়িয়েছেন কুখ্যাতি, যেদিন থেকে তিনি গান করছেন সেদিন থেকেই ট্রলের শিকার হচ্ছেন।
তবে নিন্দুকের নিন্দা গায়ে না মেখে ছুটে চলেন মাহফুজুর রহমান। যে যাই বলুক, তিনি গান গেয়েই যাচ্ছেন। ভবিষ্যতেও গাইবেন বলে বহুবার জানিয়েছেন।
প্রতি বছর ঈদ উৎসবে নিজের চ্যানেলে গান শোনান মাহফুজুর রহমান। মাঝে করোনা প্রকোপে সব থেমে গেলেও থামেনি তার গান। তবে গেল রোজার ঈদে ঘটে ছন্দপতন। সেবার গান শোনাননি তিনি। এবার কোরবানি ঈদেও গান শোনাবেন না ড. মাহফুজুর রহমান। গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন এটিএন বাংলার জনসংযোগ বিভাগ। এতে হয়তো হতাশার চর্চা করবেন তার গানের ভক্ত-সমর্থকরা।
চ্যানেলটির জনসংযোগ বিভাগ থেকে বলা হয়, ‘এবার ঈদে গান ড. মাহফুজুর রহমান শোনাচ্ছেন না।’ তবে কী কারণে মন খারাপের গান শোনাবেন না মাহফুজুর রহমান তা জানায়নি চ্যানেলটির জনসংযোগ বিভাগ।
গেল বছর কোরবানি ঈদেও দুই ভাষায় গান শুনিয়েছিলেন মাহফুজুর রহমান। সে ঈদের দিন রাত ১০টা ৩০ মিনিটে এটিএন বাংলায় প্রচার করা হয় তার একক সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘আমার চোখের আলো’। পরদিন রাত ১০.৩০ মিনিটে প্রচারিত হয় দ্বৈত গানের সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘ওয়াদা করো’। এতে তার সঙ্গে হিন্দি গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন নীলিমা, ভাবনা আহমেদ ও তাহমিনা।
এটিএন বাংলার পাশাপাশি এটিএন নিউজে প্রচার হয় ড. মাহফুজুর রহমানের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘জড়িয়ে আছি তোমায়’। ওই অনুষ্ঠানটিও বাংলা ও হিন্দি গানে সাজানো হয়েছিল।
আর এই বছর সঙ্গীত থেকে মুখ ফেরালেন ড. মাহফুজ।