নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর প্রতীকসহ দলীয় নিবন্ধন ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নীতিগতভাবে চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (৪ জুন) নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর প্রতীকসহ দলীয় নিবন্ধন ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নীতিগতভাবে নেওয়া হয়েছে। অতিদ্রুত তারা নিবন্ধন ফেরত পাবে।
কমিশনার মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আপিল বিভাগ জামায়াতের নিবন্ধন পূর্বাপর অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দিয়েছে। শিগগির জামায়াতে ইসলামী তাদের নিবন্ধন ফিরে পাবে, সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। পাশাপাশি দলটি তাদের প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে আমাদের কাছে আবেদন করেছিল যেন তাদের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফেরত পান। আমরা বিশদভাবে তা পর্যালোচনা করেছি।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘২০১৩ সালে বাতিলের আগে দলটির নিবন্ধনের সঙ্গে প্রতীক কী ছিল তা আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। দ্বিতীয়ত, ৫ নভেম্বর ২০০৮ সালে নিবন্ধন দেওয়ার সময় জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক ছিল দাঁড়িপাল্লা। তৃতীয়ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের চ (১) (খ) বিবেচনায় নিয়েছি।’
আদালতের ফুল কোর্টের সভার প্রশাসনিক পত্রে জামায়াতের প্রতীক বাতিল প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী তাদের আবেদনের সঙ্গে ২০০৬ সালের একটি রিট পিটিশন (৩৭৯৭/২০০৬) রেফারেন্স হিসেবে জমা দিয়েছে। এটিতে দাঁড়িপাল্লা নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে ব্যবহারে আদালতের মান ক্ষুণ্ন হবে না বলে রায় দেওয়া হয়েছে। এটি এখনো বলবৎ আছে।’
এর আগে গত ২ জুন রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। তবে জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক দাঁড়িপাল্লা বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন সংক্রান্ত যেকোনো অমীমাংসিত সমস্যা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় যদি থাকে, তার সাংবিধানিক আদেশ পূর্ণ প্রয়োগের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। তবে জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক দাঁড়িপাল্লা থাকবে কিনা সে বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এরই মধ্যে প্রকাশিত রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠানো হয়েছে বলে জানান জামায়াতের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এ বিষয়েও আজ সিদ্ধান্ত আসতে পারে নির্বাচন কমিশন থেকে।