সম্প্রতি গণমাধ্যমে আলোচনায় এসেছে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি। তবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে বয়সসীমা বাড়ানোর একটি পত্র পেয়েছেন। এটা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আপাতত বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। তবে আরও আলোচনা–পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে বিষয়টি দেখা হবে।
সোমবার (৬ মে) জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম ও ফরিদা ইয়াসমিনের পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সেটা ৩২ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট (সদ্য স্নাতক পাস) যারা, তাদের রিক্রুট (নিয়োগ) করতে চাই। এটা সরকারের একটা পলিসি (নীতি)। আমরা বিসিএসের মাধ্যমে দেখে থাকি, ২২–২৩ বছর বয়স থেকেই বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকে। তারা ৬–৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এ জন্য তারা যোগদানের যথেষ্ট সময় পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি সংসদে জানিয়েছেন উল্লেখ করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় যুগের প্রয়োজনে নতুন যেটা করলে ভালো হবে, সেটা চিন্তাভাবনা করে থাকি। তবে মনে করি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমরা চাকরির বয়স আগামীতে বাড়াব কি বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কি না—এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।’
এটা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলাপ–আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব বলেও জানান মন্ত্রী।