ইরানের রাজধানী তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় ভোর ৩টা থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে এই বিস্ফোরণগুলো ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অন্তত ছয় থেকে নয়টি বিস্ফোরণ শোনা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা বিস্ফোরণের কিছু ভিডিও ফুটেজও প্রচার করেছে।
টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ইসরায়েল এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘নেশন অব লায়ন্স’।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় অনেক যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। ইসরায়েলের ভাষ্য—এটি ছিল একটি সুনির্দিষ্ট এবং প্রতিরোধমূলক হামলা। লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও সামরিক অবকাঠামো।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, হামলায় তেহরানের আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে, যাতে ধ্বংস হওয়া ভবনের চিত্র দেখা গেছে।
ইসরায়েলের এক সামরিক মুখপাত্র জানান, ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় দেশজুড়ে শিক্ষা কার্যক্রম, জনসমাগম এবং অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে স্থানীয় সময় রাত ১২টা থেকে।
ইসরায়েল বলছে, তারা প্রতিরক্ষা নীতিতে তাৎক্ষণিক পরিবর্তন এনেছে। দেশজুড়ে কেবল প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলবে।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় অংশ নেয়নি। তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।’
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল মনে করছে এটি আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ। তবে তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, মার্কিন স্বার্থ কিংবা সেনাদের ওপর হামলা না চালাতে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, এই হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক সক্ষমতা। তিনি জানান, ‘অভিযান চলবে যতক্ষণ না মিশন সফল হয়।’
এদিকে ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানায়, ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। তবে বিমানবন্দরটি সরাসরি হামলার শিকার হয়নি।