দখলদার ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইরান। ইহুদিবাদী দেশটির রাজধানী তেলআবিব ও ফিলিস্তিনের অধিকৃত জেরুজালেমে শনিবার (১৪ জুন) ভোরে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
শনিবার প্রথম প্রহরে ইসরায়েলের হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালায় ইরান, মধ্যরাতে ফের হামলা শুরু করে ইরান। খবর রয়টার্সের।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ও সাধারণ মানুষকে নতুন করে আবারও আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এর কয়েক মিনিট পরই তেলআবিব ও জেরুজালেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
রয়টার্সের প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তেলআবিবে মিসাইল সদৃশ বস্তু আছড়ে পড়ার পর ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে।
ইরান সর্বশেষ হামলাটি যখন চালায় তখন সেখানে রাত ১টা ৩০ মিনিট বেজেছিল।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ইরানের রাজধানী তেহরানের পাস্তুর এলাকায় ইসরায়েলি হামলা রুখে দিতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে দেশটির বাহিনী।
কারণ ওই এলাকায় থাকেন প্রেসিডেন্ট মাসুজ পেজেশকিয়ান ও সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
সেখানকার বাসিন্দারা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ওই এলাকায় অব্যাহতভাবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে মিসাইল ছোড়া হচ্ছে যেন ইসরায়েলি মিসাইল সেখানে কোনোভাবেই আঘাত না করতে পারে।
ইরানের হামলায় ইসরায়েলের দুইটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘মেহের নিউজ’।
তাসনিম নিউজের বরাতে জানা গেছে, ভূপাতিত যুদ্ধবিমানগুলোর একটির নারী পাইলটকে আটক করা হয়েছে।
তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী এই দাবি অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, তাদের কোনো বিমান ভূপাতিত হয়নি এবং কোনো সেনাসদস্য নিখোঁজ বা বন্দি হননি।
এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইসরাইলি বিমানবাহিনী ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে একটি বড় ধরনের অভিযান চালায় ইরানে।
এতে দেশটির বেশ কয়েকটি পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ কারখানা এবং সামরিক কমান্ড সেন্টারে হামলা চালানো হয়।
এদিকে জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। ইসরাইয়েলের হামলায় ইরানের সামরিক নেতাসহ নিহত হন ৭৮ জন এবং আহত হন ৩২০ জন। আর ইরানের পাল্টা হামলায় নিহত হন ৪ জন ইসরায়েলি নাগরিক, আহত হন ৭০ জন।