বাংলাদেশের চার রানের হার আর দক্ষিণ আফ্রিকার সুপার এইট নিশ্চিতের দিনে সব আলো যেন কেড়ে নিয়েছেন দুই আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি এবং রিচার্জ ইলিংওর্থ। পরপর দুটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত একেবার কাছাকাছি গিয়ে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
ইনিংসের ১৭তম ফুলার লেংথের ডেলিভারিতে খানিকটা আড়াআড়িভাবে গিয়ে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটে-বলে না হওয়ায় লেগ বিফোর উইকেটের জন্য আবেদন করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
তে খানিকটা দ্বিধা নিয়েই আঙুল তুলেছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি। আম্পায়ার যখন আঙুল তুলছেন আউটের, ততক্ষণে বল সীমানাছাড়া। রিয়াদ রিভিউ নিয়েছেন, তাতে সিদ্ধান্তও বদলেছে। কিন্তু, লেগবাই থেকে চার রান বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে যুক্ত হয়নি। নোগাস্কি বলটিকে ডেডবল ঘোষণা করেন। পরে ম্যাচের ভাগ্যটাও নির্ধারণ হয়েছে ওই চার না হওয়ার সুবাদে।
ক্রিকেটের ২০.২ ধারায় পরিষ্কার বলা আছে, ম্যাচে ‘ডেড বল’ নির্ধারণের ক্ষমতা শুধুই আম্পায়ারের, ‘বল শেষ পর্যন্ত মীমাংসা (ওই ডেলিভারির খেলা) হয়েছে কি না, তা সিদ্ধান্ত নেবেন আম্পায়ার।’ প্রাসঙ্গিক আরেকটি ধারায় (২০.১.১.১) বলা হয়েছে, বল তখনই ‘ডেড’ হবে, ‘যখন তা উইকেটরক্ষক কিংবা বোলারের হাতে জমা পড়বে।’
সেই ধারায় আরও বলা হয়েছে, ‘বোলিং প্রান্তের আম্পায়ার যখন বুঝতে পারবেন, ফিল্ডিং দল ও ব্যাটসম্যানদের খেলা থেমেছে, তখনই সেটা ডেড বল।’
এছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে যেতে পারে ২০.১.১.৩ ধারাও। যেখানে বলা হয়েছে, যে মুহূর্তে বলের সাপেক্ষে আউটের সিদ্ধান্ত আসবে, সেই মুহূর্ত থেকে এটি ডেডবল ঘোষণা করা হবে। যার অর্থ, আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি, বার্টম্যানের আবেদনে আঙুল তোলার পর থেকেই সেটি ডেডবলই ছিল।