একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলকে নাজেহাল করে তুললেও, ইরান এখনো তাদের নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারই করেনি বলে মনে করেন সামরিক বিশ্লেষকরা।
ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ১৩ জুন কোনো উসকানি ছাড়াই ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। জবাবে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীও (আইআরজিসি) ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালেও এখন পর্যন্ত নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি। এছাড়া, ইরানের হামলাগুলোর বিশেষ ১০টি বৈশিষ্ট্য ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে একপ্রকার অকার্যকর করে দিয়েছে বলে মনে করেন তারা।
এদিকে জানা গেছে, ইরানের বিরুদ্ধে সংঘাতে ‘বড় সাফল্য’ পাওয়ার দাবি করা সত্ত্বেও দ্রুত নিজেদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারসেপ্টরের সরবরাহ কমে আসছে ইসরায়েলের। এতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার স্থায়িত্ব নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
মিত্রশক্তির (যুক্তরাষ্ট্র) গোয়েন্দা মূল্যায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএসজে)।
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে অবিরাম ক্ষেপণাস্ত্র বিনিময়ের মধ্যেই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। বলা হচ্ছে, গত শুক্রবার ইসরায়েল অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ শুরু করার পর থেকে, ইরানি বাহিনী ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রায় ৪০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
ইসরায়েলের দাবি, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে উচ্চ-উচ্চতার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে প্রতিহত করার জন্য তৈরি অ্যারো সিস্টেম, ইরান থেকে আগত বেশিরভাগ প্রজেক্টাইলকে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এর জন্য বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে বলে ইসরায়েলকে।
তেল আবিবের কর্মকর্তারা ডব্লিউএসজে-কে বলেছেন, ইরানের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক ধ্বংস করা হয়েছে। ইরানের আকাশের ওপর ‘শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন’ বা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবিও করেছেন তারা।
তবুও গোয়েন্দা সূত্রগুলো সতর্ক করে দিয়েছে যে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র মজুদের অর্ধেকেরও বেশি অক্ষত রয়েছে, যার একটি অংশ সম্ভবত ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় রাখা আছে।