কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট সিট বরাদ্দসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২২ জুন) দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান এবং পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।
স্মারকলিপিতে উত্থাপিত চার দফা দাবিগুলো হলো:
১.বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের স্থায়ী সংস্কারের লক্ষ্যে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সভার আয়োজন।
২. বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসাসেবা উন্নতকরণ এবং কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট সিট সার্বক্ষণিক সংরক্ষণের ব্যবস্থা।
৩. পরিবহন পুল থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন অপসারণ এবং চালক ও সহকারীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা।
৪. পরিবহন সংকট নিরসনে জরুরিভিত্তিতে নতুন যানবাহন সংযোজন।
এ বিষয়ে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর মাহমুদ মন্ডল বলেন, সম্প্রতি কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের রাশেদুল ইসলাম নিহত হয়েছে। এর আগে আমাদের বিভাগের মনিরুল ইসলাম নিহত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হয়। কিছুদিন আগে ক্যাম্পাসের বাস উল্টে প্রায় বিশের অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এরই প্রেক্ষিতে আমরা আজ মাননীয় উপাচার্য বরাবর চার দফা দাবি পেশ করেছি। সেখানে প্রক্টর স্যার উপস্থিত ছিলেন। তিনি সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধানের তাগিদ দেন। উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীরা খুবই যৌক্তিক কিছু দাবি উত্থাপন করেছে৷ কয়েকদিন আগেও আরবি ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষার্থী বাস -ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এর আগেও এমন দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। এ দাবি গুলো নিয়ে দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ক্যাম্পাস ফেরার পথে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত হন ইবি শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম। এসময় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রাশেদকে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ পাওয়া যায়।এ ঘটনার পর থেকেই কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়ক সংস্কার ও চিকিৎসাসেবা উন্নয়নে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়।