বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের প্রভাবে বহির্বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও বাংলাদেশে বাড়বে না। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। বিপিসির কাছে কিছু অর্থ রয়েছে। প্রয়োজন হলে, সেখান থেকে সমন্বয় করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসি এবং জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি গ্যাস সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, যুদ্ধের মধ্যে একটি তেলের জাহাজ বন্দরে এসেছে। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আমাদের সুবিধা হচ্ছে সরবরাহকারীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসেন। সোর্স মধ্যপ্রাচ্য হলেও অনেক সরবরাহকারী রয়েছে, যারা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার মার্কেট থেকে সরবরাহ করে। সে কারণে তেলের সরবরাহ নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তবুও আমরা যুদ্ধের ওপর নজর রাখছি।
তিনি বলেন, জ্বালানি সরবরাহ ব্যাহতের বিষয়টি নির্ভর করবে যুদ্ধ কতদিন চলে তার ওপর। স্বল্প মেয়াদে জ্বালানির ব্যবস্থা করা আছে। আপাতত বিশ্ববাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে জ্বালানি তেলের দাম এখন বাড়বে না। বিপিসির মুনাফা থেকে সমন্বয় করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, বেসরকারি খাত দীর্ঘ সময় ধরে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। সারা বিশ্বে এখন সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমছে। তবে বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বাড়ছে। তাই যারা এ দেশে আছেন, তাদের আরও বিনিয়োগে উৎসাহী করতে হবে। পাশাপাশি নতুন বিনিয়োগকারীদের উৎসাহী করার চেষ্টা করে যেতে হবে।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো সিজফ্রিয়েড রেঙ্গলি, ইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসির সিইও ইকবাল চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিস্তিয়াগা ওচোয়া ডি চিনচেত্রু, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রেজানুর রহমান, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম।