গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে ইসরায়েলের সাত সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
বুধবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে এমনটা দাবি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় লড়াই চলাকালে একই ব্যাটালিয়নের পাঁচ সেনা ও একজন প্লাটুন কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, লড়াইয়ে আরেকজন সেনাও নিহত হয়েছেন, তবে পরিবার তাঁর নাম প্রকাশ করার অনুমতি দেয়নি।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৪০০ জন। প্রাণহানির সংখ্যা বাড়তে পারে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪৩০ জনের বেশি ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। আনুষ্ঠানিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এএফপির করা হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলে হামাসের ওই হামলায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল থেকে ২৫১ জনকে বন্দী করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৪৯ জন এখনো গাজায় আছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, এর মধ্যে ২৭ জন মারা গেছেন।
হামাসের হামলার জবাবে একই দিন থেকে গাজায় নির্বিচার ও নৃশংস হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, তখন থেকে এ পর্যন্ত চলমান হামলায় গাজার অন্তত ৫৬ হাজার ৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যকে নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচনা করে জাতিসংঘ।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েল চলতি বছরের মার্চের শুরু থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত গাজায় সব রকমের সরবরাহ আটকে দেওয়ায় এবং কঠোর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় উপত্যকাটির ২০ লাখের বেশি মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর এখন ইসরায়েল গাজার দিকে নতুন করে ‘মনোযোগ’ দেবে মন্তব্য করেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান ইয়াল জমির।