দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার পর পুলিশের এসআই সুকান্ত দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার।
তিনি বলেন, এসআই সুকান্ত দাশকে খুলনায় আনা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় একটি এবং আদালতে একটি মামলা রয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকা থেকে এসআই সুকান্ত দাসকে মারধর করে খানজাহান আলী থানা পুলিশের কাছে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওইদিন রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় খানজাহান আলী থানা পুলিশ।
এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর নিপীড়ন ও গণগ্রেপ্তার চালানোর অভিযোগ ছিল। অভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়।
পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পরও এসআই সুকান্ত দাশকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার (২৫ জুন) দুপুর থেকে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা কেএমপি সদর দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। রাত সাড়ে ৯টায় ছাত্ররা চলে গেলে তালা ভেঙে কার্যালয় থেকে বের হন পুলিশ কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ফের কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন ছাত্ররা।
এদিকে, খুলনা বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো বিবৃতিতে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, চার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এসআই সুকান্তকে জনগণ ধরে থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের নির্দেশে রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে দলটি। তিনি পতিত সরকারের পক্ষ অবলম্বন করেছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারকে প্রত্যাহারের দাবি জানান নেতারা।