বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাস গড়ার একদম দোরগোড়ায়। প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) বাছাইপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়েছে। মিয়ানমারের ইয়াংগুনে থুউন্না যুব ট্রেইনিং সেন্টার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচটি।
ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে লাল-সবুজরা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই প্রথম সুযোগ তৈরি করেন মনিকা। তার ক্রস ঠেকান মিয়ানমারের গোলরক্ষক।
১৮তম মিনিটে শামসুন্নাহার সিনিয়রের দারুণ ড্রিবলে ফাউল করে বসেন মিয়ানমারের ডিফেন্ডার খিন ম্যো থান্ডার তুন। ফাউলের ফলে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ।
ঋতুপর্ণা চাকমার নেওয়া প্রথম শট প্রতিহত হলেও ফিরতি বলে জোরালো শটে বল জালে পাঠান তিনি। বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।
ম্যাচের ২৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। শামসুন্নাহার জুনিয়রের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
প্রথমার্ধের শেষদিকে কিছুটা চাপ সৃষ্টি করেছিল মিয়ানমার। তবে বাংলাদেশ গোলরক্ষক রুপনা চাকমার দৃঢ়তায় ও প্রতিপক্ষের ফিনিশিং ব্যর্থতায় গোল পায়নি স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধেও ভালো খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ৭১ মিনিটে আবারও গোল করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। বাঁ প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত শটে বল জালে পাঠান তিনি।
বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়ে গেলে ম্যাচে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে শেষ দিকে একটি গোল পরিশোধ করে মিয়ানমার।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সামনে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেই প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।
আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় হবে নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্ব। সেখানে খেলবে আটটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন, স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া এবং গত আসরের শীর্ষ তিন দল।
বাংলাদেশের এই জয় শুধু র্যাংকিংয়ে বড় ব্যবধানই নয়, ভেন্যু, সমর্থক এবং অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা দলকে হারানোর দৃষ্টান্ত। জয়টি তাই দেশের নারী ফুটবলের জন্য এক বিশাল অর্জন।