পুরুষ দল যা পারেনি বিগত ৪৫ বছরে, সেটাই করে দেখাল বাংলাদেশের মেয়েরা। স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলে এক পা দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। গ্রুপের অন্য ম্যাচে বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান ২-২ গোলে ড্র করেছে। এতে সি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
আর তাতেই হয়েছে ইতিহাস। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলবে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসবে এই আসর।
দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের নামের পাশে ৬ পয়েন্ট। স্বাগতিক মিয়ানমারের ৩, বাহরাইন ও তুর্কেমেনিস্তানের সমান এক পয়েন্ট করে। বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের কাছে হারলে এবং মিয়ানমার বাহরাইনের বিপক্ষে জিতলে তখন দুই দলেরই সমান ৬ পয়েন্ট হবে।
টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী প্রথমে হেড টু হেড বিবেচনা হবে। বাংলাদেশ মিয়ানমারকে হারানোয় বাংলাদেশ গ্রুপ সেরা হিসেবে গণ্য হবে। ফলে আজই বাংলাদেশের এশিয়া কাপ নিশ্চিত হলো।
তুর্কমেনিস্তান ম্যাচটি জিতলে বাংলাদেশকে পরবর্তী ম্যাচে ন্যূনতম ড্র করতে হতো। কারণ তুর্কমেনিস্তান বাংলাদেশকে হারালে তখন তাদেরও ছয় পয়েন্ট হওয়ার সুযোগ থাকত। আবার মিয়ানমার শেষ ম্যাচে বাহরাইনকে হারালে তখন তিন দলের ছয় পয়েন্ট হতো। সেই সময় বড় জটিলতায় পড়তো গ্রুপটি।
খেলার ইনজুরি সময়ে গোল করে ২-২ স্কোরলাইনে ড্র করে বাহরাইন বাংলাদেশকে অপেক্ষা থেকে মুক্তি দিয়েছে। কারণ এখন শুধু মিয়ানমারেরই ৬ পয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং সেটা হলেও হেড টু হেড বিবেচনায় বাংলাদেশই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে।