কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) “ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্ণার” স্থাপনের উদ্দেশ্যে খাদেমুল হারামাইন বাদশা ফাহদ বিন আব্দুল আজিজ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস ছালাম খান।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার পরিদর্শন শেষে গ্রন্থাগারিক কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. একেএম মতিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. তোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক ড. মো: নাছির উদ্দিন মিঝি’সহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এবং ছাত্র নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভায় দুইটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম একটি হলো মসজিদ ভিত্তিক লাইব্রেরী স্থাপন এবং অপরটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্নার স্থাপন যার মধ্যে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্নার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমি যে প্রস্তাব গুলো করব সেটা হলো ইসলামী শিক্ষার উন্নয়ন এবং ইসলামী শিক্ষার উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কি ভূমিকা পালন করতে পারে নাম্বার ওয়ান, নাম্বার টু ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন লন্ডন এর কনসেপ্ট থেকে তৈরি করা হয়েছিল যার উদ্দেশ্য ছিল গবেষণার জগতে ইসলামকে প্রাধান্য দেওয়া।
এসময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আবদুস ছালাম খান বলেন, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভার্নিং বডির সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে দেশের প্রথম ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্নার’ হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইসলামকে সমুন্নত রাখতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা চাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। যেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইসলাম নিয়ে কাজ করার অনেক ক্ষেত্র ও সুযোগ রয়েছেন। মানব উন্নয়নে কিছু ভালো দক্ষ শিক্ষার্থী আমরা গড়ে তুলতে চাই।