আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের পর ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা। এবিসি নিউজকে বিশেষজ্ঞরা জানান, গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে হাঁটতে পারে তেহরান।
গেল মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিমান হামলায় ইরানের ফরদো, ইসফাহান ও নাতাঞ্জে থাকা পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই প্রেক্ষাপটে ইরানি পার্লামেন্ট এবং গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদনের পর বুধবার (২ জুলাই) আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইনে সই করেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
এর ফলে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
মার্কিন গণমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা ইরানের আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টিকে ‘বিপজ্জনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। অনেকে আশঙ্কা করছেন, এই সুযোগে ইরান হয়তো গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রস্তুতি নিতে পারে।
এছাড়া পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধের চুক্তি থেকেও তেহরান সরে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানান, এনপিটিতে সদস্য থাকা, না থাকার বিষয়টি তারা এখন পর্যালোচনা করছেন।
তবে ইরানের এমন সিদ্ধান্তকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, ইরানের সামনে এখনো শান্তিপূর্ণ সমঝোতার সুযোগ আছে। কিন্তু তারা উল্টো পথে হাঁটছে। আইএইএ’র সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া ইরানের কাছে বিকল্প কোনো পথ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ওয়াশিংটনের পাশাপাশি ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ইরানের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে।
এদিকে পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল দাবি করেছেন, মার্কিন হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অন্তত এক থেকে দুই বছর পিছিয়ে গেছে। তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে বলেও দাবি তার।