কিশোরগঞ্জে ‘জুলাই দিবস’ প্রতিরোধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতিকালে পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবদুল আওয়ালকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২ জুলাই) রাতে জেলা শহরের নগুয়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আবদুল আওয়াল পাকুন্দিয়া উপজেলার ইসাগুম গ্রামের বাসিন্দা এবং ইসামউদ্দিন মাস্টারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ওই রাতে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা নগুয়া এলাকার একটি বাসায় গোপন বৈঠকে বসেছেন—এমন খবরে এলাকাবাসী ও ছাত্র-জনতা ওই বাসাটি ঘিরে ফেলে এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় এবং আবদুল আওয়ালকে আটক করে। এ সময় পাশের কক্ষে অবস্থানরত আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়।
অভিযানকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ‘জুলাই দিবস প্রতিরোধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল’ লেখা একটি ব্যানারও উদ্ধার করে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আটক আবদুল আওয়ালের নামে পূর্বের মামলাও রয়েছে। তিনি বলেন, “জুলাই দিবস উপলক্ষে ছাত্র-জনতার মাসব্যাপী কর্মসূচি রয়েছে। এই কর্মসূচি প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে গোপনে লোকজন জড়ো করা হচ্ছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আজ (৩ জুলাই) দুপুরের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, পলাতকদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘জুলাই দিবস’ ঘিরে কিশোরগঞ্জে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছাত্র-জনতা ও স্থানীয় সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অভিযান। এই প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।