পাকিস্তানের করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের মতো সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে। ধ্বংসাবশেষের নিচে এখনও অনেকের আটকা পড়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৫ জুলাই) জিও টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ধসে পড়া ভবনটির ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিতদের খুঁজে বের করতে এবং মৃতদেহ উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
কর্তৃপক্ষের অনুমান, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ছয় থেকে সাতজন আটকা পড়ে থাকতে পারেন।
শুক্রবার করাচির লিয়ারির বাগদাদি এলাকায় ওই ভবনটি ধসে পড়ে। এটি কয়েক দশকের পুরোনো ভবন বলে জানা গেছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ওই ভবনটিতে ২০টি অ্যাপার্টমেন্টে ৪০ জনেরও বেশি লোক বাস করতেন।
হাসপাতাল প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত ১৪টি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরে এলাকাটি ঘিরে ফেলা এবং লোকজনকে ঘটনাস্থলে আসতে বাধা দেয়ার জন্য রেঞ্জার্স এবং সিটি ওয়ার্ডেনদের মোতায়েন করা হয়। ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
উদ্ধারকারীরা ট্র্যাপড পার্সন লোকেটর ব্যবহার করছেন – এটি একটি যন্ত্র যা ধ্বংসস্তূপের নিচে হৃদস্পন্দন শনাক্ত করে জীবিতদের উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, ২০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলমান অনুসন্ধান অভিযানে আরও সাত থেকে আট ঘন্টা সময় লাগতে পারে।